এপিজে আব্দুল কালাম – মিসাইল ম্যান যিনি স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন
কল্পনা করুন একটি যুবকের কথা, যে সমুদ্রের ধারে নিজের বাচনভঙ্গির চর্চা করছে যাতে তার নিজের আওয়াজ সমুদ্রের গর্জনকে ছাপিয়ে যায়। এবার ভাবুন এক আত্মবিশ্বাসী বিজ্ঞানীর নাম যাকে সারা ভারত শ্রদ্ধা করে। হ্যাঁ, তিনি ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম।
জীবনের প্রথমভাগে নিজের বাচনভঙ্গি নিয়ে সমস্যায় পড়ায় কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাসের অভাব হওয়ায় তিনি সমুদ্রের ধারে কথা বলার চর্চা করতেন। তিনি ঠিক করেছিলেন যতদিন না সমুদ্রের ঢেউর আওয়াজ ছাপিয়ে নিজের কণ্ঠস্বর তিনি শুনতে পান, ততদিন চর্চা চালিয়ে যাবেন।
এপিজে আব্দুল কালাম বলতেন, আমার কোনও খারাপ অভিজ্ঞতা নেই। আমি বিশ্বাস করি যদি কেউ ব্যর্থতার সম্মুখীন না হয়, কেউ সাফল্যের জন্য যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ হতে পারে না। আমি মনে করি হার স্বীকার করে চেষ্টা করতে থাকলেই সাফল্য মেলে।
বহুমুখী প্রতিভা ছিল ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের। ১৮টি বই লেখার পাশাপাশি তিনি কবিতা ও গানও লিখেছেন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগেই তিনি ভারতরত্ন হন। তিনি বলতেন, যদি ভারতবর্ষকে ২০২০ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হতে হয়, যুবশক্তির কাঁধে ভর করেই তা সম্ভব।
তিনি বলতেন একটি মোমবাতি আরেকটি মোমবাতিকে জ্বালালে তার কোনও ক্ষতি হয় না। এর মাধ্যমে তিনি বলেছেন সমস্যা ভাগ করে নিলে এবং একে অপরের পাশে দাঁড়ালে সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব। তিনি বলতেন, নিজে জেতার থেকেও জীবনে বেশী গুরুত্বপূর্ণ অন্যকে জিততে সাহায্য করা।
অনেক যুবা প্রতিভাকে তিনি স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন। ‘আই অ্যাম কালাম’ সিনেমাটি দেখে সকলেই বুঝবেন তাঁর কি প্রভাব পড়ুয়াদের ওপর।