বঙ্গে লাগাতার হার, ২৪শে কী হবে? চিন্তায় গেরুয়া শিবির
পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনে হার, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হার, বাংলার মাটিতে বিজেপির পরাজয়ের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘতর হচ্ছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হার, তারপর থেকেই লাগাতার হার। সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের সাধারণ নির্বাচনে হার। দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা, ভবানীপুর, বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনগুলিতে পরপর হার। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হার। কলকাতা, বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়ি পুরনিগমে হার। শতাধিক পুরসভার নির্বাচনে হার। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে হার। পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনে হার, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হার, বাংলার মাটিতে বিজেপির পরাজয়ের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘতর হচ্ছে।
শুক্রবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনেও হার। বঙ্গের মাটিতে হারের নয়া রেকর্ড গড়ল বিজেপি। দিনহাটা, শান্তিপুর, ধূপগুড়ি বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা গেরুয়া শিবিরের দখলেই ছিল। ধূপগুড়িতে সহজ জয় মিলবে এমনই প্রত্যাশা ছিল বিজেপির কিন্তু অঙ্ক মেলেনি। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন, তার আগে নিজেদের তথাকথিত গড় হিসেবে পরিচিত উত্তরবঙ্গে ধাক্কা খেল বিজেপি। বাম-কংগ্রেস জোট কোনও প্রভাব ফেলতেই পারেনি। বিজেপি হারতেই প্রশ্ন উঠছে ২৪শে কী হবে? অমিত শাহ ৩৫টি আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন। এই অবস্থায় উত্তরের মাটিতে ধরাশায়ী হল বিজেপি। যে ভোট ব্যাঙ্কের কাঁধে ভর দিয়ে বাংলায় বিজেপির উত্থান ঘটেছে, সেই ভোটে ফাটল ধরেছে। রাজবংশী ভোট, মতুয়া ভোট, আদিবাসী ভোট, বামপন্থীদের ভোট একে একে সব হাতছাড়া হচ্ছে।
ধূপগুড়িই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। উনিশের ভোটে ধূপগুড়িতে থেকে বিজেপি পেয়েছিল১,০৫,৭২৯টি ভোট। ৮৭,৯৬৩টি ভোট গিয়েছিল জোড়াফুল শিবিরে। একুশের বিধানসভায় ভোট ওই কেন্দ্রে বিজেপি পেয়েছিল ১,০৪,৬৮৮টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছিল ১,০০,৩৩৩টি ভোট। ধূপগুড়িতে মোটে দু’বছরেই বিজেপি হারিয়েছিল ১ হাজার ভোট এবং তৃণমূল ১৩ হাজার ভোট বাড়িয়ে নিয়েছিল। কিন্তু এবারে তৃণমূল প্রায় ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। শতাংশের হিসেবে তিন শতাংশ ভোট বেড়েছে। কেবল ধূপগুড়ি নয়, গোটা উত্তরবঙ্গে জমি হারাচ্ছে বিজেপি। একুশের ভোটে আলিপুরদুয়ারে ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রেই পদ্ম ফুল ফুটেছিল। সেই জেলায় জেলা পরিষদ দখল তো দূরের কথা, কোনও পঞ্চায়েত সমিতিই দখল করতে পারেনি বিজেপি। এই অবস্থায় বাংলার মাটিতে লোকসভায় কটা আসন পাবে বিজেপি? চিন্তায় পড়েছে গেরুয়া শিবির। মনে করা হচ্ছে, সংগঠনে বড়সড় বদল আসতে চলেছে। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেমে আসতে পারে দিল্লির শাহী ধাক্কা!