সার্ধশতবর্ষে জলপাইগুড়ি জেলা, উন্মাদনা তুঙ্গে
জলপাইগুড়ির ১৫০ বছর পূর্তি। ইতিহাস অনুযায়ী এই জেলার নাম জল্পেশ্বর থেকে এসেছে যেটা শিব ঠাকুরের আরেক নাম।

জলপাইগুড়ির ১৫০ বছর পূর্তি। ইতিহাস অনুযায়ী এই জেলার নাম জল্পেশ্বর থেকে এসেছে যেটা শিব ঠাকুরের আরেক নাম। কিন্তু কেউ কেউ বলে এই স্থানে আগে নাকি জলপাই এর গাছ প্রচুর মাত্রায় ছিল, যে কারণে এই জায়গার নাম জলপাইগুড়ি। ইতিহাস ঘাঁটলেই বারবার ঘুরেফিরে আসে জলপাইগুড়ি জনপদের কথা। রঘু বংশের রাজত্ব থেকে মহাভারতে কামরূপের উল্লেখ।

ইতিহাসের পাতায় জলপাইগুড়ির গুরুত্ব অনেক। জলপাইগুড়ি জনপদের একাংশ ভুটানের অধীনে ছিল। ভুটানকে সন্তুষ্ট করে তিব্বতে বাণিজ্যিক পথ তৈরি করতে চেয়েছিল ব্রিটিশরা। ৭৭ মৌজা উপহার পেয়েও সন্তুষ্ঠ হননি ভুটানের রাজা। শেষে ভুটানের সঙ্গে ১৮৬৪ সালে দ্বিতীয়বার ইংরেজদের যুদ্ধ। বহু বছরের লড়াইয়ের পর ১৮৬৯ সালের পয়লা জানুয়ারি নতুন জেলা জলপাইগুড়ির জন্ম।

জলপাইগুড়ির ১৫০ বছর পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সেজে উঠেছে শহর। ইতিমধ্যেই আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা শহরকে। শহরের মিলন সঙ্ঘ ময়দানে হবে মূলপর্বের সমাপ্তি অনুষ্ঠান। বিশাল মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে। এখানে জেলা পুলিশের প্রাচীন অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শনীর জন্য একটি বিশাল স্টল থাকছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে ২০টি আলোক তোরণ। এ ছাড়া শহরের প্রতিটি রাস্তাকেই আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। অনুষ্ঠানে থাকবেন বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিক–সহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা।

দু’দিনের এই অনুষ্ঠানে রকমারি আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টায় আতশবাজির রোশনাইয়ে ঝলমলিয়ে ওঠে গোটা শহর। জেলার সার্ধ্বশতবর্ষ উপলক্ষে ‘জলপাইগুড়ির ইতিহাস’ মলাটবন্দি হয়েছে। ১১৬ জন লেখক-গবেষকের কলমে উঠে এসেছে প্রিয় শহরের জানা-অজানা গল্প। জেলার জন্ম-কথায় কলম ধরেছেন দেবেশ রায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, তিলোত্তমা মজুমাদরসহ আরও অনেকে।
এক দিকে জেলার জন্মদিন, অন্যদিকে বর্ষবরণ। দুই মিলে জলপাইগুড়িতে এখন জোড়া উৎসব।