উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

কোচবিহারে বিজেপি শিবিরে ধাক্কা! একাধিক নেতা যোগ দিল তৃণমূলে

August 25, 2020 | 2 min read

বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে বিজেপি শিবিরে ধাক্কা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি কোচবিহারে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার কোচবিহারে বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা জোড়াফুল শিবিরে যোগ দেন। এদিন জেলা পার্টি অফিসে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করেন চারজন বিজেপি নেতানেত্রী।

কোচবিহার-২ ব্লকের প্রভাবশালী নেতা পরিমল রায় বিজেপি ছেড়ে এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সম্পাদিকা কমলা সরকার, বিজেপির ৩২ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি কুমারজিৎ সরকার, ওই মণ্ডলেরই নেত্রী শোভারানি সাহা বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে নাম লেখান। দিন কয়েক আগেই বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। পরপর এত নেতানেত্রী দল ছাড়ায় বিজেপি কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে। তবে বিজেপি দাবি, এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।

জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, এদিন বিজেপি ছেড়ে চারজন নেতানেত্রী আমাদের দলে এলেন। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সাতদফায় এ ভাবেই আমরা যোগদান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, এদিন যাঁরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকে ব্যক্তিগত কারণে গিয়েছেন। অনেকে আবার তৃণমূলের চাপে ওই দলে যোগ দিয়েছেন। যে কোনও দলে যোগদান করার গণতান্ত্রিক অধিকার সকলের আছে। তবে এতে আমাদের দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।

কোচবিহার জেলায় সম্প্রতি তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে পরিবর্তন হয়েছে। সেইসঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসেরও সভাপতি পরিবর্তন হয়। ওই পদে অভিজিৎ দে ভৌমিক এসেছেন। তারপর থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি, ও যুব মোর্চা থেকে তৃণমূলে যোগদান করানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। দিন কয়েক আগেই বিজেপির প্রাক্তন যুব মোর্চার সভাপতি তথা প্রাক্তন সম্পাদক শৈলেন্দ্র সাহুকে দলে যোগদান করিয়েছিল তৃণমূল। এদিন আবার চারজন নেতানেত্রীকে দলে শামিল করিয়ে জেলায় বিজেপিকে কার্যত ধাক্কা দিল ঘাসফুল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিমলবাবু আগে তৃণমূলে ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন কোচবিহার-২ ব্লকের সভাপতি পদে ছিলেন। বেশকিছু দিন আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এবার আবার তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। তিনি ওই এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী নেতা।

তিনি দলে যোগ দেওয়াতে কোচবিহার-২ ব্লক তথা কোচবিহার উত্তর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল বাড়তি অক্সিজেন পেল বলে দল মনে করছে। কমলা সরকারও বিজেপির মহিলা মোর্চার দীর্ঘদিনের নেত্রী ছিলেন। তিনিও দলত্যাগ করায় বিজেপি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ল। এদিকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসও নানা জায়গায় সভা করে যোগদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকার বেশকিছু বিজেপি নেতাকে তারাও সংগঠনে টানতে সক্ষম হয়েছে। দলের অন্যান্য বিধায়ক, নেতারাও তাঁদের নিজেদের বিধানসভা এলাকায় প্রায় দিনই কোনও না কোনও কর্মসূচির মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে নিজেদের দলে যোগদান করাচ্ছেন। ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট, কোচবিহার জেলায় তৃণমূল বিজেপি শিবিরে ধাক্কা দেওয়ার পাশাপাশি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #tmc, #Coochbehar

আরো দেখুন