রাজ্যের চারটি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কী বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচনের পর এবার বিধানসভা উপনির্বাচন। বুধবার উপনির্বাচন হয় রাজ্যের ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে। ভোটগ্রহণ হয় কলকাতার মানিকতলা, নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ও উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্ত ছাড়া মোটের উপর নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে রাজ্যের এই ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন।
চারটি কেন্দ্রের মধ্যে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটিতে জিতেছিল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনেও ওই বিধানসভায় লিড ছিল পদ্মশিবিরের। যে বিধানসভায় ২০২১ সালে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, সেই কেন্দ্রে ২০২৪ সালে সামান্য লিড ছিল ঘাসফুল শিবিরের। অর্থাৎ ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ২০,৭৪৮ (১৩.০২ শতাংশ)। যিনি পরবর্তীতে তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেন। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুয়ায়ী, রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৪৬,৭৩৯ ভোটের লিড পেয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের অর্ধেক ভোট পান তৃণমূল প্রার্থী।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ থেকে ১৬,৫১৫ ভোটে (৬.৮৮ শতাংশ) জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। যিনি লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভা ভোটে রানাঘাট থেকে লড়াই করেন। কিন্তু ২০২১ সালে তিনি যে বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন, সেখানে ৩৬,৯৩৬ ভোটের লিড পান বিজেপির প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রে ২০,৬১৪ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। যে বিধানসভা কেন্দ্র পড়ে বনগাঁ লোকসভার মধ্যে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বাগদা থেকে জিতেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর জয়ের মার্জিন ছিল ৯,৭৯২ (৪.৪৯ শতাংশ)। তবে পরে বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। আর লড়াই করেন বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে।
এবার উপনির্বাচনের ফলাফল কোনদিকে যায় সকলের নজর সেদিকেই। যদিও উপনি
র্বাচনের ট্রেন্ড সাধারণত শাসকদলের পক্ষেই থাকে। ‘দৃষ্টিভঙ্গি’র বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, উপনির্বাচনের ফলাফল ২-২ হতে পারে। অর্থাৎ তৃণমূল দুটি আসনে এবং বিজেপি দুটি আসনে জয়ী হচ্ছে। মানিকতলা ও বাগদা আসন দুটি পাচ্ছে তৃণমূল এবং রায়গঞ্জ ও রানাঘাট আসন দুটি পাচ্ছে বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপি’র একটি জেতা আসন ছিনিয়ে নিতে চলেছে তৃণমূল।