টুকরো টুকরো করে কেটে খুন! হুগলির বিষ্ণু মাল হত্যা মামলায় দোষী ৭ জনের ফাঁসির সাজা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চার বছর আগের ঘটনা। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে হুগলি জেলায় খুন হন চুঁচুড়ার কামারপাড়ার বাসিন্দা বিষ্ণু মাল। ওই যুবককে টুকরো টুকরো করে কেটেছিল গ্যাংস্টার বিশাল দাস ও তার সঙ্গীরা। তার পর মৃতের হাত-পা এবং মুন্ডু কেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এ দিক-সে দিক। ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল শরীর থেকে হাত-পা, মুন্ডু কাটার সেই দৃশ্যও। তদন্তে নেমে মৃতের কাটা হাত-পা কয়েক দিনের মধ্যে খুঁজে বার করতে পারলেও মুন্ডু খুঁজে বার করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছিল পুলিশের।
হুগলির সেই বিষ্ণু মাল হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া আট জনের মধ্যে সাত জনকে ফাঁসির সাজা দিল চুঁচুড়া আদালত। নৃশংসতার জন্য এই অপরাধকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে চিহ্নিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফার্স্ট ফ্যাস্ট ট্র্যাক কোর্ট) শঙ্কর ঘোষ। বিশাল ছাড়াও ফাঁসির সাজা হয়েছে রামকৃষ্ণ মণ্ডল, বিনোদ দাস, রতন ব্যাপারী, রাজকুমার প্রামাণিক, বিপ্লব বিশ্বাস ও রথীন সিংহের। সকলেই কুখ্যাত অপরাধী। মান্তু ঘোষ নামে আর এক অপরাধীর সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছিল গ্যাংস্টারের এক সঙ্গী।
মামলার সরকারি আইনজীবী (স্পেশ্যাল পিপি) বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নৃশংসতার বেনজির নমুনা তৈরি করেছিল বিশাল ও তার সঙ্গীরা। বিষ্ণু মালের প্রেমিকাকে তার পছন্দ ছিল। তাই বিষ্ণুকে অপহরণ করে মুরগি কাটার মতো অঙ্গচ্ছেদ করে সে। কাটামুণ্ডে চড় মেরে তারা উল্লাসে মেতেছিল। মামলাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে আদালতে সওয়াল করি। তা মেনে নিয়ে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বিচারক, যা বেনজির।’