তামিলনাড়ু BJP-তে ইস্তফার হিড়িক! গেরুয়া পার্টির হিন্দি আগ্রাসনই কি কারণ?
ভাষা ইস্যুতে বিজেপির তামিলনাড়ু শাখায় ইস্তফার ঢল নেমেছে। প্রথম সারির এক নেত্রী হঠাৎই পদত্যাগ করেন। দল ছাড়তে শুরু করেছেন কর্মীরাও।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী বছর বাংলা, অসম, কেরলের সঙ্গে সঙ্গে তামিলনাড়ুতেও বিধানসভা নির্বাচন। দক্ষিণের এ রাজ্যে জয়ললিতার এআইএডিএমকে এখন দুর্বল। এআইএডিএমকের স্থান দখল করে ডিএমকের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসতে মরিয়া বিজেপি। যদিও তাতে কাঁটা হয়ে উঠেছে হিন্দির আগ্রাসন সংক্রান্ত অভিযোগ। ভাষা ইস্যুতে বিজেপির তামিলনাড়ু শাখায় ইস্তফার ঢল নেমেছে। প্রথম সারির এক নেত্রী হঠাৎই পদত্যাগ করেন। দল ছাড়তে শুরু করেছেন কর্মীরাও।
হিন্দি বিরোধী ভাষা আন্দোলনের অভিঘাতে কংগ্রেস ক্ষমতা হারায় দক্ষিণের এই রাজ্যে। ১৯৬৭ সালের ভোটে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর থেকে তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। এবার তামিলনাড়ুতে ফের হিন্দি বিরোধী ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষা নীতিতে ইংরাজি ও মাতৃভাষার সঙ্গে হিন্দি পড়ার যে নিয়ম কেন্দ্র করেছে, সেই নির্দেশিকা মানবে না তামিলনাড়ু। ভোটের আগে তামিল সত্ত্বা ও ভাষার আবেগ নিয়ে ডিএমকে মাঠে নামায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিজেপি।
হিন্দি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে বিজেপি অন্দরেও দানা বাঁধছে অসন্তোষ। দক্ষিণের এই রাজ্যে বিজেপির একের পর এক নেতানেত্রী পদ ও দল ছাড়ছেন। মঙ্গলবারও বিখ্যাত অভিনেত্রী ও বিজেপি নেত্রী রঞ্জনা নাচিয়ার ইস্তফা দিয়েছেন। বহু বিজেপি কর্মীসমর্থকও দল ছাড়ছেন। কারণ, তামিল ভাষার আবেগ। কর্মী সমর্থকরা বলছেন, তামিল ভাষা নিয়ে দিল্লি আবারও আগুন জ্বালাচ্ছে। একবার কংগ্রেস শিক্ষা পেয়েছে। এবার বিজেপি পাবে। স্ট্যালিন মঙ্গলবার বিভিন্ন অহিন্দিভষী মুখ্যমন্ত্রীকে এই ইস্যুতে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হিন্দি, এনইপি, নিট, এই তিনটি সিদ্ধান্ত জোর করে চাপানো যাবে না। প্রতিবাদ করবেন তিনি। এটাই হবে আগামী বছরের ভোটের ইস্যু। স্বাভাবিকভাবে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সতর্ক। তারা গোটা বিষয়টি নিয়ে সাবধানতার সঙ্গে এগোতে চাইছে। কোনওরকম বেফাঁস মন্তব্য যেন কেউ না করে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। তামিলনাড়ুর মাটিতে তামিল সত্ত্বাকে রক্ষা করতে বৃহত্তর জোটেরও আহ্বান করেছেন স্ট্যালিন।