বন্ধ এমপি ল্যাডের টাকা, প্রতিবাদ সংসদে
করোনাকে ঢাল করে এমপি ল্যাডের টাকা বন্ধের বিরুদ্ধে সরব হল কংগ্রেস ও তৃণমূল। যদিও বিরোধিতা সত্ত্বেও লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ‘দ্য স্যালারি অ্যালাওয়েন্স অ্যান্ড পেনশন অব মেম্বার অব পার্লামেন্ট (সংশোধনী) বিল ২০২০।’ ধ্বনি ভোটে। তবে স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এভাবে বিল পাশ করার প্রতিবাদ করল বিরোধীরা। তৃণমূলের লোকসভার মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, করোনা রুখতে এলাকার মানুষের জন্য এমপি ল্যাড থেকে এক কোটি টাকা দেওয়ার সুপারিশ করেছিলাম, তা কেন মানা হল না? তিনি বলেন, ৩০ শতাংশ কেন, আমাদের বেতন পুরো কেটে নিক সরকার। কিন্তু জনসাধারণের উন্নয়নের লক্ষ্যে এমপি ল্যাডের টাকা বন্ধ করা মানব না। বলা বাহুল্য, একবছরের জন্য এমপিদের বেতন ৩০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে।
একইভাবে সৌগত রায় সরকারকে খোঁচা দিয়ে বলেন, কোভিডকে ঢাল করে মানুষের উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য বিদেশ থেকে বিমান কেনা হচ্ছে। ২৪ হাজার কোটি টাকায় নতুন সংসদ ভবন তৈরি হচ্ছে। এই সময়ে কেন এই বিপুল খরচ? প্রশ্ন তোলেন তিনি। কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী, কে সুরেশের মতো এমপিরাও বিলের বিরোধিতা করেন। কিন্তু ধ্বনিভোটে তা বাতিল হয়ে যায়। অনায়াসে বিল পাশ করিয়ে নেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি।
করোনা পরিস্থিতিতে এবার সংসদে এমপিদের হাজিরার ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে আপাতত পেন দিয়ে সই করতে হচ্ছে না। বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে চলছে হাজিরা। যদিও সংসদে না এসে অন্য কোনও জায়গা থেকে ওই অ্যাপ কাজ করবে না। তাই সংসদে এসেই ওই অ্যাপের মাধ্যমে হাজিরা দিতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, সংসদে হাজিরা দিলে প্রত্যেকদিন দু’হাজার টাকা করে পান এমপিরা। তবে যেহেতু করোনার সংক্রমণের সম্ভাবনা দ্রুত বাড়ছে, তাই যেসব এমপির বয়স ৬৫ বছরের বেশি এবং অন্য কোনও রোগ রয়েছে, তাঁরা চাইলে সংসদে নাও আসতে পারেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা এবং চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।
সভার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মঙ্গলবার এমপিদের সতর্কও করেন স্পিকার। রাজ্যসভায় বসে কংগ্রেসের লোকসভার দুই এমপি আগের মতোই কথা বলছিলেন। টিভিতে তা দেখতে পেয়েই লোকসভার কক্ষ থেকে ওম বিড়লা বলেন, সবাই কিন্তু সবার উপর নজর রাখছে। দয়া করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। তড়িঘড়ি দূরে সরে যান এমপিরা। সভায় ওঠে হাস্যরোল! উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ এড়াতে দুই দফায় ভাগ করে চলছে লোকসভা, রাজ্যসভার অধিবেশন।