সিঙ্গুরে কৃষি-শিল্প দুইই হবে, কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে বার্তা মমতার
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি কৃষক বিরোধী, এই অভিযোগে সরব তৃণমূল। তাই সিঙ্গুর (Singur) কলেজ সামনে সিঙ্গুর ট্রমা সেন্টারের পাশের বেড়ের জমিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তৃণমূল নেতা, কর্মীরা। রাজ্য কিষাণ খেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক বেচারাম মান্না এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে ওই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে টেলিফোনে বার্তা দেন তিনি।
বেচারাম মান্নার ফোনের মাধ্যমে সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনেন। বক্তৃতায় মোদি সরকারকে খোঁচা দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “বিজেপি ফড়েদের নিয়ন্ত্রণ করছে। চাষিদের থেকে আলু-পেঁয়াজ কম দামে কিনে বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাতেই আলু, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। এগুলো নিত্য প্রয়োজনী জিনিসের মধ্যে পড়ে। তাতে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। সবই যদি বাংলায় তৈরি হয়ে বাইরে চলে যায়, তবে দেশের লোকেরা খাবে কী? বড় কেলেঙ্কারি করছে কেন্দ্র। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।” বিজেপিকে তুলোধনা করে তিনি বলেন, “আঙুর ফল টক। বিজেপি আঙুর ফলের কথা বলবে। ওদের কাছে যাবেন না। লড়লে আমরাই লড়ব। মরলে আমরাই মরব। জীবনদান করতে হলে তাও আমরাই করব। ছোটখাটো ভুলত্রুটি এলাকায় কেউ করলেও তা সংশোধন করতে হবে। যে কোনও মানুষমাত্রেই ভুল হয়। সেটাকে সংশোধন করে নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি সিঙ্গুরের মানুষ একদিকে কৃষি, আরেকদিকে হাইওয়ে ধরে শিল্প তৈরি হোক। তাতে এই এলাকাটা আরও উন্নত হবে। সিঙ্গুর এমনিতেই উন্নত এলাকা। সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হচ্ছে। জায়গা নির্বাচন করেছি। অ্যাগ্রো প্রসেসিং পার্ক হবে। কৃষিজাত পণ্য নিয়ে কাজ করবে। বহু মনুষের চাকরিও হবে।” এদিকে, এদিনই শক্তিবৃদ্ধি হল তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন আইনুল হক এবং ডাঃ রেজাউল করিম। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যাযের উপস্থিতিতে দলে যোগ দেন তাঁরা। ২০১৮ সালে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হন আইনুল হক। এরপর দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তাঁর হাতে সেই সময় দলীয় পতাকা তুলে দেন অগ্নিমিত্রা পল। কিন্তু কয়েকবছর কাটতে না কাটতেই ফের দলবদল। কিন্তু কেন বিজেপি ছাড়লেন তিনি? রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল। তাই দলবদলের সিদ্ধান্ত।