বিশ্ব ব্যাঙ্কের বার্ষিক মানবসম্পদ সূচকে ১১৬ তম স্থানে নেমে গেল ভারত
‘আচ্ছে দিন’ আনার স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মোদী সরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মোদী জমানায় ক্রমশই আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগাচ্ছে দেশ। এই মুহূর্তে বিশ্ব ব্যাঙ্কের বার্ষিক মানবসম্পদ সূচকে ১৭৪টি দেশের মধ্যে ১১৬তম স্থানে রয়েছে ভারত। ২০১৮ সালের নিরিখে নম্বর সামান্য বাড়লেও (০.৪৪ থেকে ০.৪৯) ক্রমতালিকায় ভারত এক ধাপ পিছিয়েছে। সে বছর ১৫৭টি দেশের মধ্যে তার স্থান ছিল ১১৫ নম্বরে। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যতই উন্নয়নের দাবি করুন না কেন, আন্তর্জাতিক, বেসরকারি, এমনকি সরকারি বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যানে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। তা সে জিডিপির হিসেবই হোক বা কর্মসংস্থানের অথবা হোক অর্থনৈতিক স্বাধীনতা।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিশ্বের ৯৮ শতাংশ মানুষকে নিয়ে মানবসম্পদ সূচকের রিপোর্টের কাজ বিশ্ব ব্যাঙ্ক শেষ করেছে মার্চে। তখনও করোনা সংক্রমণ বিশ্বকে এতটা ঝাঁকুনি দিতে পারেনি। আর এখন সংক্রমণের নিরিখে ব্রাজিলকে ছাপিয়ে ভারত উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। ফলে ঝুঁকি বেড়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের বক্তব্য, অতিমারির আগের কয়েক বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন সামাজিক সূচকে যথেষ্ট উন্নতি করেছিল উন্নয়নশীল দেশগুলি। কিন্তু সেই অগ্রগতিকে অতিমারি পুরোপুরি চুরমার করে দিয়েছে। মানবসম্পদ সূচক তৈরির কাজ করোনার আক্রমণের গোড়ার দিকে শেষ হলেও রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অতিমারির সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে। কমবে সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কাজ।