আবারও বাংলাকে ‘বিদেশি ভাষা’ বলে অপমান বিজেপির, ক্ষুব্ধ অভিষেক
“এই কারণেই আমরা বিজেপিকে বলি ‘বাংলা বিরোধী’ এবং ‘জমিদার’। কারণ তারা ভারতের বৈচিত্র্যের প্রতি কোনও সম্মান দেখায় না বরং বিভাজনের রাজনীতি করে।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:৩৬: বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের লক্ষ্য করে হেনস্থা, গ্রেফতার, আটক সহ বিভিন্ন অপমানজনক আচরণের অভিযোগ উঠে আসছে বারবার। এরই মাঝে আর এক ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল রাজধানী দিল্লিতে।
সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “দিল্লি পুলিশ তাদের এক সরকারি চিঠিতে বাংলাকে সরাসরি ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে উল্লেখ করেছে।এটা কোনও সাধারণ টাইপের ভুল নয়। বরং, এটা বিজেপির আরেকটি সচেতনমূলক ও পরিকল্পিত অপচেষ্টা। বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করা, আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে খর্ব করা এবং পশ্চিমবঙ্গকে বারবার বাংলাদেশ বলে দাগিয়ে সংকীর্ণ রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা চালানো।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের সংবিধানের ৩৪৩ নম্বর অনুচ্ছেদ ও অষ্টম তফসিলে বাংলা ভাষা স্বীকৃত। তাই বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলার ঘটনা শুধুমাত্র অপমান নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের উপর এক সরাসরি আক্রমণ। এমন মন্তব্য শুধু সাংবিধানিক অবমাননাই নয়, এটা গোটা বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি ও ভারতীয়তার উপর আঘাত হানার বিষয়।”
তাঁর সংযোজন, “এই কারণেই আমরা বিজেপিকে বলি ‘বাংলা বিরোধী’ এবং ‘জমিদার’। কারণ তারা ভারতের বৈচিত্র্যের প্রতি কোনও সম্মান দেখায় না বরং বিভাজনের রাজনীতি করে।”
এই ঘটনায় তৃণমূল সম্পাদক অবিলম্বে, তদন্তকারী আধিকারিক অমিত দত্তকে বরখাস্ত করার এবং দিল্লী পুলিশ ও বিজেপি এবং তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর শেষ কথা, “বাংলা এবং বাঙালি উভয়েই ভারতীয়। বাংলা আমাদের গর্ব। আমাদের পরিচয়কে পদদলিত হতে দেব না।”