তিনিই ইন্ডাস্ট্রি! রইল প্রসেনজিতের সেরা ছবির তালিকা
টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রির রাজা মিডাস বলা যায় তাঁকে। যা কিছুতে হাত দেন, সোনা ফলিয়ে ছাড়েন! এই মুহূর্তেও সাফল্যের স্পটলাইট তাঁর উপরে। অবশ্য স্পটলাইট তাঁকে কখনওই ছাড়ে না। তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলে কথা! সাফল্যের দৌ়ড় দেখছেন প্রায় ৪০ বছর ধরে।
দেখে নেওয়া যাক তাঁর কিছু সেরা সিনেমাঃ-
উৎসব (২০০০)
দুর্গাপুজোর প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবিতে ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিতের এক নতুন রূপ দেখতে পেল দর্শক। এই সিনেমায় একসঙ্গে ধরা পড়েছে একগুচ্ছ আবেগ। সিনেমায় প্রসেনজিৎকে দেখা যাবে একদম অন্যরকম চরিত্রে যা সেই সময় তিনি একেবারেই করতেন না।
চোখের বালি (২০০৩)
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবি নির্মাণ করেন ঋতুপর্ণ। মহেন্দ্রর চরিত্রে প্রসেনজিতের অভিনয় মন কেড়েছিল দর্শকদের। ঐশ্বর্যের সাথে তাঁর রসায়ন জীবন্ত করে তোলে রবি ঠাকুরের চরিত্রগুলিকে।
দোসর (২০০৬)
এই সিনেমাতেও আবার সেই প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণর জুটি। পরকীয়া নিয়ে এক মর্মস্পর্শী ছবি। সম্পূর্ণ সাদা কালো এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ।
অটোগ্রাফ (২০১০)
এই সিনেমায় পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। অনেকে মনে করেন এই সিনেমাটি ১৯৬৬ সালের সত্যজিৎ রায়ের নায়ক সিনেমার রিমেক। এই ছবির হাত ধরেই এক নতুন প্রসেনজিৎকে পেল বাংলা সিনেমার দর্শক। অটোগ্রাফের জন্য সেরা অভিনেতার পুরষ্কার পান প্রসেনজিৎ।
মনের মানুষ (২০১০)
লালন ফকিরের জীবনের ওপর তৈরি হয় এই সিনেমা। এই সিনেমায় লালনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ। তাঁর বিপরীতে ছিলেন পাওলি দাম। পরিচালক গৌতম ঘোষ এই সিনেমার জন্য অনেক পুরষ্কারে ভূষিত হন।
বাইশে শ্রাবণ (২০১১)
এই সিনেমায় এক বহিষ্কৃত পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় সকলকে তাক লাগিয়ে দেন প্রসেনজিৎ। এই রোমাঞ্চকর সিনেমার পরিচালনা করেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এই সিনেমায় প্রসেনজিতের সহকারীর ভূমিকায় অভিনয় করেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এই সিনেমার জন্য সমালোচকরাও ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রসেনজিতের।
জাতিস্মর (২০১৪)
আবারও একসঙ্গে জুটি বাঁধেন প্রসেনজিৎ ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এখানে অ্যান্টনি ফিরিঙ্গীর ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রসেনজিৎ। সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে দর্শকদের পৌঁছে দেওয়ায় প্রসেনজিতের অভিনয়ের পাশাপাশি সমান অবদান পরিচালকের।
ময়ূরাক্ষী (২০১৭)
এই সিনেমায় প্রসেনজিৎ এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি যিনি শিকাগো থেকে কলকাতায় ফেরেন ৮৩ বছরের বাবার সঙ্গে দেখা করতে যিনি স্মৃতিবিচ্যুতির রোগে ভুগছেন। সেখানে বাবা ও ছেলের সম্পর্ক মূল বিষয়। এখানেও সকলের মন কেড়ে নেয় প্রসেনজিতের অভিনয়।
গুমনামী (২০১৯)
ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম বিতর্কিত বিষয় নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর অন্তর্ধান রহস্য। বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল? নাকি তিনি ফিরে এসেছিলেন দেশে? সেই রহস্য নিয়েই তৈরি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামী। পর্দায় নেতাজীর চরিত্রে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
নিরন্তর (২০২০)
পরিচালক চন্দ্রাশিস রায়ের প্রথম ছবি ‘নিরন্তর’। দু’জোড়া দম্পতির বিষাদময় কাহিনি। প্রসেনজিতের অভিনয়ে সেরা মুহূর্তগুলো তৈরি হয় নীরব অভিব্যক্তিতে। গোলমরিচমার্কা দাড়ি নিয়ে তিনি অবসন্নতা, বিরক্তি, রাগ, হতাশা, ভেতরের যন্ত্রণা, কিছু প্রাপ্তির নীরব আনন্দ সব কিছুই সরব করে তোলেন দর্শকের কাছে।