রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

শুরু হল গ্রামবাংলার শিল্পীদের নিয়ে কাজ ‘সৃষ্টিশ্রী উৎসব’

October 3, 2020 | 2 min read

এমনিতেও যে আর্থিকভাবে অন্য সময় তাঁরা খুব সুবিধাজনক অবস্থায় থাকেন, তা নয়। কিন্তু লকডাউনের ফলে গ্রামবাংলার হস্তশিল্পীদের পেটে টান পড়েছে বিস্তর। তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ‘সৃষ্টিশ্রী উৎসব’ করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই অনুযায়ী শুক্রবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম দেওয়া ঢাকুরিয়ায় ‘সৃষ্টি ভবন’-এ শুরু হয়ে গেল ওই উৎসব। এদিন ওই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ‘সৃষ্টিশ্রী উৎসব’-এ কী কী পাওয়া যাচ্ছে? পাওয়া যাচ্ছে ধনেখালির তাঁত, ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ি, বিষ্ণুপুরী বালুচরি, গারোয়াল, তসর সিল্ক, পাঞ্জাবি, ডোকরা, টেরাকোটা, কাগজের গয়না-সহ বাংলার হস্তশিল্পীদের হাতে বানানো চোখধাঁধানো বিভিন্ন জিনিসপত্র।

এদিন ওই উৎসবের উদ্বোধন করে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এখানকার জিনিসপত্রের যেমন গুণ, তেমনই কম দাম। এমন জিনিস কিন্তু খুঁজলেও পাওয়া যায় না। পঞ্জাবি থেকে শাড়ি, ঘর সাজানোর জিনিস সব পাবেন এখানে।’

করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পুজোর কেনাকাটাতেও কাটছাঁট হচ্ছে। সেই কারণে এবং জনসাধারণ যাতে হস্তশিল্পীদের জিনিসপত্রগুলি কিনতে আগ্রহী হন, সে কারণে পুজোর উপহার হিসেবে প্রতিটি জিনিসের উপর ২০ শতাংশ ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে এখানে। তবে শুধু যে হস্তশিল্পীদের হাতে তৈরি সামগ্রীই থাকছে এখানে, তা কিন্তু নয়। বাঙালির প্রিয় ইলিশ মাছ, থাকছে গলদা চিংড়িও। ১৪৭০ টাকা কিলো দরে পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ মাছ। গলদা চিংড়ি পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ টাকা কিলোয়। পাওয়া যাচ্ছে তুলাইপাঞ্জি, লক্ষণভোগ, গোবিন্দ ভোগ-সহ সুস্বাদু চাল ও দেশি ঘি’ও।

তবে শুধু তো কেনাকেটা করলেই হয় না, পেটপুজোও তো করতে হবে। ব্যবস্থা আছে তারও। পাওয়া যাচ্ছে পিঠে পুলি, কচুরি, আলুরদম, তন্দুর, বিভিন্ন ধরনের ফ্রাই। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এর জন্যে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। ‘সৃষ্টি ভবনে’ প্রতিটি জেলার স্টল আগে থেকেই রয়েছে। সেখানে মোট ২৪টি স্থায়ী স্টল আছে। নীচের পার্কিং লটে আরও ১৬টি নতুন স্টল বানানো হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#State Government, #Sristishree Utsav

আরো দেখুন