কালীপুজোর সন্ধ্যায় দীঘার জগন্নাথদেবের প্রসাদ অর্পণ নৈহাটির বড়মাকে

October 21, 2025 | 2 min read
Published by: Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৩০: বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকল বাংলা। সোমবার কালীপুজোর সন্ধ্যায় নৈহাটির বড়মাকে দীঘার জগন্নাথদেবের প্রসাদ ভার্চুয়ালি অর্পণ করা হল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রক্ষক হলেন বিমলা দেবী। জগন্নাথের পুজো অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে বিমলার পুজো হয়। কালীর তান্ত্রিক রূপ হিসেবে পূজিতা হন বিমলা দেবী। তাঁর ভৈরব হলেন স্বয়ং জগন্নাথদেব। জগন্নাথদেবের প্রসাদ বিমলা দেবীকে অর্পণ করার পরই মহাপ্রসাদ হয়। সেই রীতি মানা হল বাংলায়।

কলকাতা ইসকনের সহ সভাপতি তথা জগন্নাথ মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাধারমণ দাস জানান, জগন্নাথদেবের প্রসাদ প্রথমে বিমলাদেবীকে অর্পণ করা হয়। তখন সেটা মহাপ্রসাদ হয়। বিমলাদেবী মা কালীর রূপ। তাই কালীপুজোর সন্ধ্যায় জগন্নাথদেব যে প্রসাদ গ্রহণ করেছেন সেটা নৈহাটির বড়মাকে লাইভ ভিডিও কল মারফত অর্পণ করা হল। তারপরই প্রসাদ মহাপ্রসাদ হল। জগন্নাথদেবের ভক্তরাও বড়মাকে দর্শন করেছেন। বড়মার ভক্তরাও জগন্নাথ দেবের দর্শন পেয়েছেন।

 

বড় কালী পুজো সমিতির কর্তাদের দাবি, জগন্নাথদেবের প্রসাদ বড়মাকে অর্পণ করার শুভ মুহূর্তের সাক্ষী থেকে আপ্লুত হয়েছেন ভক্তরা। জগন্নাথ মন্দিরের কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বড় কালী পুজো সমিতিও জগন্নাথদেবের পুজো দিতে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।

বিরল শুভ মুহূর্তকে সাক্ষী রেখে সোমবার রাত ১২টায় নৈহাটিতে শুরু হল বড়মার পুজো। তিল ধারণের জায়গা ছিল না নৈহাটি স্টেশন রোড-সহ অরবিন্দ রোডে। রবিবার দুপুরে বড়মাকে গয়না পরানোর সময় থেকেই ভিড় বাড়ছিল। ওই দিন রাত ন’টার পর থেকে দণ্ডী কাটতে ভক্তদের ঢল নামে। রাত বারোটার পর কাতারে কাতারে ভক্ত গঙ্গার ঘাটে ভিড় করেন স্নান করে দণ্ডী কাটার জন্য। সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত দণ্ডী সংখ্যাটা কমবেশি আড়াই লক্ষ বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। লক্ষ লক্ষ ভক্ত পুজো দিয়েছেন। অনলাইনে পুজোর ব্যবস্থা করেছিল বড় কালী পুজো সমিতি। জানা গিয়েছে, অনলাইনে পুজো পড়েছে প্রায় এক লক্ষ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen