কাটছে জট? নামতে পারে Tariff! বড় দাবি মিডিয়া রিপোর্টে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:১৫: কমতে পারে শুল্ক হার? তবে কি ভারত এবং আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তির (India-US Trade Deal) জট খুলতে চলেছে? এমনই দাবি করেছে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘মিন্ট’। শুল্ক-সংক্রান্ত আরও খবর ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ‘মিন্ট’-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে শীঘ্রই বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন হবে। ভারতীয় পণ্যের উপর বসানো শুল্কের হার হ্রাস পেতে পারে। শুল্কের পরিমাণ কমে ১৫ থেকে ১৬ শতাংশে এসে দাঁড়াতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে।
ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে নানা টানাপোড়েন চলছে। দুই দেশের প্রতিনিধি দল বারবার চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে, রফাসূত্র মেলেনি। আমেরিকার দুগ্ধজাত বা কৃষিজাত পণ্যের জন্য ভারতের বাজার খোলার দাবি ঘিরে থমকে রয়েছে আলোচনা। রয়েছে রাশিয়ার তেলের প্রসঙ্গও।
বাণিজ্যচুক্তির সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্তাদের উদ্ধৃত করে ‘মিন্ট’-র প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আসিয়ান সম্মেলনের আগে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আসিয়ান সম্মেলনের অবসরে ট্রাম্প এবং মোদী (Donald Trump & Narendra Modi) যৌথভাবে চুক্তির ঘোষণা করতে পারেন। আসিয়ান সম্মেলনে দুই দেশের দুই প্রধান আদৌ উপস্থিত থাকবেন কিনা জানা যায়নি। মস্কো থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে দীর্ঘ দিন ধরে ভারতকে চাপ দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির কৌশল হিসেবেও ব্যবহার করছে। ট্রাম্প দাবি করছেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনার পরিমাণ কমাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মোদী। এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেনি। ‘মিন্ট’-র প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চুক্তির অংশ হিসাবে নাকি রাশিয়া থেকে তেল কেনা ধাপে ধাপে কমাবে ভারত!
উল্লেখ্য, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার শাস্তি স্বরূপ ভারতীয় পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্কের বোঝা চাপিয়েছে আমেরিকা। ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারতকে তেল বিক্রি করে পাওয়া লভ্যাংশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ইউক্রেন আক্রমণ করার পর রাশিয়ার উপর বহু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল পশ্চিমিরা। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি শুরু করে। রাশিয়া থেকে ছাড়ে তেল কিনতে শুরু করে ভারত। ০.২ শতাংশ থেকে বেড়ে রুশ তেলের আমদানি পরিমাণ হয়েছে ৩৫ শতাংশ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ ভারত। কম দামে রাশিয়া থেকে তেল কেনে ভারত। যদি রাশিয়া থেকে ভারত তেল আমদানির বহর কমায়, তবে চাহিদা মেটাতে অন্য দেশের উপর ভরসা করতে হবে। তাতে ভারতের অর্থনীতির উপর চাপ পড়তে পারে।