কেরল থেকে ফেরার পথে ‘খুন’! ওড়িশায় মিলল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ, CID তদন্তের দাবি পরিবারের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৩০: কেরল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেন থেকে নিখোঁজ হয়ে যান আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) এক যুবক। কয়েকদিন পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা (Odisha) থেকে। মুখে পাথর গুঁজে, গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত যুবকের নাম হাঞ্জালা ফিরদৌস, বয়স ২১। তিনি আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার ময়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের লছমনডাবরি গ্রামের বাসিন্দা।
হাঞ্জালা দেড় মাস আগে কেরলে (Kerala) রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন। ১২ অক্টোবর কল্লোল স্টেশন থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ট্রেন থেকে পরিবারের সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয়। এরপর থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফোনেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবার জিআরপির স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে।
শুক্রবার ওড়িশার গঞ্জম জেলার ভুবনেশ্বর এলাকায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওড়িশা পুলিশ মৃতের পরিবারকে খবর দেয়। পরিবারের দাবি, হাঞ্জালাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। তাঁর মুখে পাথর গুঁজে দেওয়া হয়েছিল, গলায় ছিল দড়ির ফাঁস। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মৃতের মাসি নুরজাহান বেগম বলেন, “আমরা ওড়িশা থানা থেকে জানতে পেরেছি হাঞ্জালাকে খুন করা হয়েছে। আমরা সিআইডি তদন্ত চাই। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা যদি ভিনরাজ্যে এভাবে অত্যাচারের শিকার হন, তাহলে সাধারণ মানুষ নিরাপদ থাকবে কীভাবে?” তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
হাঞ্জালার পরিবারে রয়েছেন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। শোকস্তব্ধ পরিবার ইতিমধ্যেই মৃতদেহ আনতে ভুবনেশ্বর (Bhubaneswar) রওনা হয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আতিয়ুর রহমান বলেন, “আমরা সিআইডি (CID) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। মৃত শ্রমিকের পরিবারের পাশে থাকতে হবে।”
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, “ওই শ্রমিক বেশ কয়েকদিন নিখোঁজ ছিলেন। মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়েছি। পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।”