চন্দননগরে বিদ্যুৎ বন্ধের যুগ শেষ, লোডশেডিং মুক্ত জগদ্ধাত্রীর শোভাযাত্রা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:১৫: এ বছর চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজোয় এক নতুন ইতিহাস তৈরি হল। বহু বছরের লোডশেডিংয়ের প্রথা ভেঙে এবার শোভাযাত্রার দিন শহরের প্রতিটি ঘরে জ্বলে উঠল আলো। বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ না করেই সম্পন্ন হচ্ছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রক্রিয়া। এতদিন পর্যন্ত ভাসানের দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোটা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হত, যাতে ওভারহেড তারে প্রতিমার স্পর্শ না লাগে। কিন্তু এবার আর সেই ঝামেলা নেই।
দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান এসেছে শহরের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে। প্রায় ১২০ কোটি টাকার প্রকল্পে মাটির নীচ দিয়ে ১১ হাজার কেভি লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিমা শোভাযাত্রার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার প্রয়োজন পড়ছে না।
লোডশেডিং না হওয়ায় শহরবাসীর মুখে স্বস্তির হাসি। আবাসন থেকে শুরু করে একতলা বাড়ি—সব জায়গাতেই বিদ্যুৎ ও জলের জোগান বজায় থাকায় মানুষের দৈনন্দিন কাজে কোনো বিঘ্ন ঘটছে না। আগের বছরগুলিতে ভাসানের দিনে বিদ্যুৎ ও জল না থাকায় রান্না, ফোন চার্জ বা প্রয়োজনীয় কাজকর্মে বড় অসুবিধা হত। এবার সেই দুর্ভোগের অবসান ঘটেছে।
পুরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিসর্জন শোভাযাত্রা ঘিরে নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শতাধিক পুজো কমিটি অংশ নিচ্ছে শোভাযাত্রায়, আর প্রতিটি দলের সঙ্গে থাকছে পুলিশি টহল। সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
গঙ্গার ঘাটগুলিতে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রাখা হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য। অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এই উৎসব উপভোগ করতে পারছেন দূরদূরান্তের মানুষও। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজোর এই পরিবর্তন শুধু প্রযুক্তিগত উন্নতির প্রতীক নয়, শহরের ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক সুন্দর মিলনও বটে।