গঙ্গাসাগর মেলার পর্যালোচনায় সোমবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মমতা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৪৫: ২০২৫ সালের গঙ্গাসাগর মেলা যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যুর ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই সময় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন বিরোধীরা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এ বার নিজের রাজ্যে লক্ষাধিক মানুষের সমাগমে আয়োজিত গঙ্গাসাগর মেলা বা ‘বাংলার কুম্ভ’ সামলানোর দায়িত্ব তাঁর সরকারের কাঁধেই। তাই মেলা আয়োজনে কোনওরকম খামতি বা ঝুঁকি রাখতে নারাজ তিনি।
জানুয়ারি মাসের হাড়হিম করা ঠান্ডায় সাগরদ্বীপে অনুষ্ঠিত এই মেলায় দেশ-বিদেশের লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর ঢল নামে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে এই মেলার আয়োজন এক বড় চ্যালেঞ্জ। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2026)। পুণ্যস্নানের মূল তিথি ১৪ জানুয়ারি।
এই মেলা পরিচালনার ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মেলার প্রায় ৮০ শতাংশ আয়োজনের দায়িত্ব থাকে তাদের ওপর। তাই মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১৫ ডিসেম্বরের বৈঠকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় এবং তাঁর দপ্তরে র সচিবকে উপস্থিত থাকতে হবে। এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত ডিজি রাজীব কুমার-সহ স্বরাষ্ট্র, পূর্ত, পরিবহণ, বিদ্যুৎ, খাদ্য, দমকল, পরিবেশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে র মন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকদের।
প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এই বৈঠকে শামিল করা হয়েছে। মথুরাপুর লোকসভার সাংসদ বাপী হালদার, প্রাক্তন সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, মণীশ গুপ্ত এবং সাগর সংলগ্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলির বিধায়কদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্নের এক আধিকারিকের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলার আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেন। তবে এ বছর কুম্ভমেলার দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে এবং পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তৎপরতা ও নজরদারি অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।