এবার মানুষের ‘পুজো’ই ব্রত সুরুচি সংঘের
সুরুচি সংঘ। দক্ষিণ কলকাতার পুজো পরিক্রমায় এই নামটি যে তালিকার উপরের দিকেই থাকে, তার প্রমাণ মণ্ডপের উপচে পড়া ভিড়। ‘আসছে বছর আবার আসব’- মণ্ডপ ছাড়ার সময় যেন নিঃশব্দে এই স্লোগানই তোলেন দর্শনার্থীরা। করোনা আবহে আড়ম্বরকে গৌণ রেখে সেসব মানুষের জন্যই বেশি করে ভাবতে আগ্রহী উদ্যোক্তারা। উৎসবের মরশুমে সকলের মুখে হাসি ফোটাতে অভিনব উদ্যোগ নিল কলকাতার বিখ্যাত এই পুজো কমিটি।
বিশ্বজুড়ে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই বাংলায় দোসর হয়েছিল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। কলকাতা থেকে বসিরহাট-সুন্দরবন, তছনছ হয়েছে বহু মানুষের সাজানো সংসার। ঘরছাড়া হয়েছেন হতদরিদ্ররা। তাই তো সবমিলিয়ে অতিমারীর আবহে উৎসবের রং হয়েছে ফিকে। আর সে কথা মাথায় রেখে এবার মানুষের ‘পুজো’য় ব্রতী সুরুচি সংঘ। ‘এবার উৎসব নয়, হোক মানুষের পুজো’ – এই হল সুরুচি সংঘের এবারের থিম ভাবনা। আর সেই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার কাজও শুরু করে দিয়েছে পুজো কমিটি।
সুরুচি সংঘের তরফে ১ থেকে ১২ বছরের মোট ১০ হাজার ১৫৫ জন বাচ্চার হাতে পুজোর জামাকাপড় তুলে দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের কথায়, পুজোতে ছোটদের মুখে হাসি না ফুটলে কীসের উৎসব? তাই তো এমন কঠিন সময়ে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোই যেন হয় প্রত্যেকের সংকল্প।
অন্যান্যবারের তুলনায় এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজোর জৌলুস খানিকটা কমই। শিল্পী ভবতোষ সুতারের ভাবনায় তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রতিমা গড়ার কাজও প্রায় শেষের দিকে। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দর্শনার্থীদের আসতে হবে মণ্ডপে।