হাই কোর্টের রায়ে ভার্চুয়াল দর্শনেই ঝুঁকছেন উদ্যোক্তারা
পুজো প্রাঙ্গণে প্রস্তুতি চলছিল একভাবে। সোমবার বিকেলে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ জানার পর একলহমায় সেই পরিকল্পনায় বদল আনতে তোড়জোড় পড়ে যায় মণ্ডপে মণ্ডপে। ফিতে হাতে নেমে পড়েন পুজো উদ্যোক্তারা। পাঁচ মিটার নাকি দশ মিটার, তা নিয়েই চলেছে আলোচনা, জল্পনা। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ মানতেই হবে। কম সময়ের মধ্যে এখন আয়োজন সম্পন্ন করাই চ্যালেঞ্জ। এদিন হাইকোর্ট পুজো নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়ে বিকেলেই গোলটেবিল বসান পুজো কমিটির কর্মকর্তারা। তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে সুরুচি সঙ্ঘ থেকে ত্রিধারা সম্মিলনী।
কর্মকর্তারা বলছেন, পুজো মণ্ডপের ভিতরে থাকবেন শুধু পুরোহিত ও তাঁর সহযোগীরা। বাকিরা কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। দর্শনার্থীদের জন্য জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যান্য পুজো কমিটির আবেদন, এবার ফেসবুক, ইউটিউবের মাধ্যমেই পুজোর আনন্দ উপভোগ করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে, এবার পুজো দেখুন হেঁটে নয়, নেটে। চেতলা অগ্রণী পুজো কমিটির উদ্যোক্তা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাইভে মণ্ডপ, প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রীভূমির প্রধান কর্মকর্তা সুজিত বসুর কথায়, আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিতে হবে। একডালিয়া এভারগ্রিন পুজো কমিটির সভাপতি সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, আদালতের নির্দেশ আরও আগে পেলে ভালো হতো। শেষ মুহূর্তে এই নির্দেশ আসায় অনেকেরই অসুবিধা হবে।
উত্তর থেকে দক্ষিণের একাধিক পুজো কমিটি বলছে, যে উদ্যম নিয়ে ঝাঁপিয়েছিল তারা, আদালতের পর্যবেক্ষণের পর তাতে কিছুটা ভাটা পড়ল। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার আগেই ঘোষণা করেছিল, তাদের পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার থাকবে না। আদালতের নির্দেশে তারা খুশি।