← জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান
ভূত চতুর্দশীতে ঘর জুড়ে থাকুক আলোর রোশনাই
দীপাবলি আলোর উৎসব। আলোর ভূমিকাই এখানে প্রধান। শুধু বাঙালি নয়, পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা ভারতবর্ষ জুড়ে সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষ দীপাবলিতে মাতেন। বাড়িতে অতিথি অভ্যাগতের সমাগম হয়। খাওয়াদাওয়া, আতশবাজি, পুজো, আড্ডা- আনন্দঘন মুহূর্ত।
দীপাবলির আগে ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বহু পরিবার। ঘরের সেট-আপ বদল করে। পার্টির আয়োজনও করা হয় ঘরে, বাগানে, লনে। এই সময় ঘর সাজাতে মাটির প্রদীপ বা কৃত্রিম আলো একটা মূল অনুষঙ্গ।
মাটির প্রদীপে এখন অনেক অপশন। প্লেন মাটির প্রদীপ যেমন হয়, নানারকম ডিজাইনার প্রদীপও বেরিয়েছে হাতে আঁকা। মোমবাতিরও প্রচুর বৈচিত্র। যার মধে্য মোম প্রদীপ বা ফ্লোটিং ক্যান্ডেল দিয়ে এই সময় ঘর সাজালে খুব সুন্দর লাগে।
- বড় ড্রয়িং রুমের মাঝখানে বড় একটা এথনিক পটে ফ্লোটিং ক্যান্ডেল বসাতে পারেন। কিছু গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিলেন।
- প্রদীপ ঘরের কোনও একটা কোনায় রাখলে ভাল লাগবে। একটা কর্নার শুধু সাজালেন। এথনিক বারোটা কী চব্বিশটা প্রদীপের সেট বসিয়ে ফুলের রঙ্গোলি করে দিলেন। সেটগুলো একসঙ্গে জোড়া হয়, তাই প্লেসমেন্ট করা সহজ হয়।
- রঙ্গোলি দীপাবলির একটা অন্যতম অঙ্গ। প্রদীপ বা আলোর সঙ্গে রঙ্গোলি দিলে ঘর খুব সুন্দর লাগবে দেখতে।
- এলইডি লাইট দিয়ে নানারকম ভাবে সাজাতে পারেন। নানারকম কালারের বাল্ব দিয়ে, টুনি দিয়ে সাজানো যেতে পারে। কোনও একটা দেওয়াল বা একটা কর্নার সাজানো যেতে পারে।
- গ্লাস ল্যানটার্ন পাওয়া যায় খুব সুন্দর। সেগুলো দিয়ে পুরো ঘর সাজাতে পারেন। কালারফুল গ্লাসের নীচে এলইডি ফিক্স করা থাকে।
- বাড়িতে পুরনো গ্লাস থাকলেও করা যেতে পারে। বাড়িতে বাগান থাকলে সুন্দর করে সাজানো যায়।
- ফার্নিশিংগুলো রদবদল করলে ভাল লাগবে। যেমন, পর্দা, কুশন কভার এগুলো একটু ব্রাইট কালার হলে ভাল লাগবে।
- সুগন্ধ বিষয়টা খুব এসেনশিয়াল, পটপিউরি রাখা যেতে পারে।
- আলোর মধ্যে বৈচিত্র আছে। বিভিন্ন মেটিরিয়ালের, বিভিন্ন শেপের, কালারের এলইডি হয়। দেওয়ালের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লাইটিং, ফিটিংস করলে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
- ইন্ডোর প্লান্ট বা আউটডোর প্লান্টের মধ্যে ছোট ছোট আলো বসিয়ে ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অন্যরকম দেখতে লাগবে।
- ডিজাইনার লাইট হয়। ঘরের ডাইনিং টেবিলে বা সেন্টার টেবিলে রাখা যেতে পারে। কোনও বড় মূর্তি থাকলে, সেই মূর্তির চারধার দিয়ে আলো দিয়ে সাজানো যেতে পারে।
- অনেক আলো একসঙ্গে ঝুরি করে ঝোলানো যেতে পারে। স্ট্রিং লাইট দেখতে বেশ চমকপ্রদ লাগে। হ্যাঙ্গিং লাইট আলাদা করে সিলিং থেকে ঝোলানো যেতে পারে।
- মোজেইক করা ল্যানটার্ন খুব ইউনিক দেখতে হয়। জাফরির কাজ করা থাকে। রং আর আলো মিলিয়ে সুন্দর আবহ তৈরি করে। মোজেইক ল্যানটার্ন বিভিন্ন জায়গায় বসাতে পারেন।
- পেডেস্ট্রাল ছোট্ট ছোট্ট লাইট হোল্ডার পাওয়া যায়। সেগুলোয় আলো ফিট করলে অন্যরকম দেখতে লাগে। অতিথি অভ্যাগতদের জন্য খাওয়ার টেবিলে এমন কয়েকটা ল্যাম্প রাখা যেতে পারে।
- ছড়ানো প্রদীপের মতো হ্যাঙ্গিং ল্যানটার্নও ঘরে ঝোলালে খুব সুন্দর লাগে।