রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

উড়ে এসে বাংলা জয় করা যায় না, বিজেপিকে খোঁচা পার্থর

November 23, 2020 | 2 min read

ছবি: ফাইল চিত্র

‘বহিরাগত’ শব্দটি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। রবিবারও ‘বহিরাগত’ খোঁচা দিয়ে বিজেপিকে নিশানা অব্যাহত রেখেছে তৃণমূল। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব একবাক্যে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার মাটির সঙ্গে যাঁদের সম্পর্ক নেই, অন্য রাজ্য থেকে তাঁরা উড়ে এসে পশ্চিমবঙ্গ জয় করতে পারবেন না। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এক ডজন নেতা প্লেনে করে এখানে উড়ে এসে বাংলা জয় করতে পারবেন না। সেইসঙ্গে বাংলায় বিজেপি নেতৃত্বের অভাব নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, বিজেপিতে বাংলার নেতার যে অভাব হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। প্লেনে করে যদি নেতারা এসে জেলায় যান, তাহলে জেলা সভাপতিদের ভূমিকা আর কী রইল! যে সমস্ত বিজেপি নেতা রোজই বাংলা দখলের আওয়াজ তুলছেন, তাঁদের উদ্দেশে পার্থবাবুর মন্তব্য, আগে বিজেপি নেতারা নিজের দল সামলান, তারপর অন্য দল নিয়ে ভাববেন। বিজেপির কোনও কর্মসূচি নেই। শুধু কুৎসা রটানো, দোষারোপ আর মিথ্যা বলে তৃণমূলকে আক্রমণ। 
তৃণমূল নেতারা বলেছেন, সম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে যেমন লড়াই চলছে, তেমনই অব্যাহত থাকবে ওদের মদতদাতা সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও আন্দোলন। ২৬ নভেম্বর বামফ্রন্টের ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন করছে না তৃণমূল। তবে যেসব ইস্যু নিয়ে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে তাতে বিরোধ নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব। তাঁর বক্তব্য, আমরা বন্‌ধ, ধর্মঘটের বিরুদ্ধে। যে বিষ঩য়ে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে তা নিয়ে অনেক আগেই রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল। ২৬ তারিখও স্থানীয়ভাবে মিটিং, মিছিল, প্রতিবাদ সভা হবে। এদিন বেহালা পশ্চিম তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। রবীন্দ্রনগর ক্ষেত্রমোহন বিদ্যাপীঠ সংলগ্ন মাঠে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় হাজির ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি দেবাশিস কুমার, সাংসদ মালা রায় প্রমুখ। বুথ থেকে আসা প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কর্মীদের একাধিক নির্দেশিকা দেন নেতৃত্ব। এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, বিধানসভা ভোটের আগে হাতে যেটুকু সময় রয়েছে সেটার সদ্ব্যবহার করতে হবে। ঘরে বসে থাকার কোনও অবকাশ নেই। ভোটার তালিকার কাজ, দেওয়াল লিখন-সহ ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হবে।
কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও নিবিড় করতে হবে। মানুষের কাছে গিয়ে তুলে ধরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে। সেইসঙ্গে কর্মীদের সতর্ক থাকারও নির্দেশ রয়েছে। নেতৃত্ব সতর্ক করেছেন, শান্তির বাংলায় বিজেপি অশান্তি বাধানোর চেষ্টা চলছে। কোনও অবস্থায় বিজেপির প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না। বুথ স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। দলীয় সূত্রে খবর, এই কর্মশালায় কর্মীদের বার্তা দিয়ে নেতৃত্ব বলেছেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোনও কাজ করা যাবে না। নিজেদের মধ্যেও কোনও বিভেদ নয়। এদিনের কর্মশালায় ছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু বলেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় দলের সঙ্গেই আছেন। তাঁকে আর নতুন করে দায়িত্ব দেওয়ার কী আছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় নেই, এতে ভোটে কোনও সমস্যা হবে কি? পার্থবাবুর জবাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কার কত দৌড় দেখা যাবে।  বেহালায় এক দলীয় সম্মেলনে পার্থ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#partha chatterjee, #AITC, #BJP Bengal, #West Bengal Election 2021

আরো দেখুন