ধর্মঘটের দিন রাজ্যকে স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার
আগামী ২৬ নভেম্বর প্রস্তাবিত ধর্মঘটে গণপরিবহণ স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার (State Government)। আজ মঙ্গলবার সমস্ত পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পরিবহণদপ্তরের কর্তারা। পরিবর্তনের জমানায় যে-কোনও রাজনৈতিক দলের রং-আদর্শ নির্বিশেষে কর্মনাশা এই সংস্কৃতি রুখতে সফল প্রশাসন। সেই ঐতিহ্য মেনে আগামী বৃহস্পতিবার মহানগর তথা রাজ্যের স্বাভাবিক গতি ছন্দে রাখতে সক্রিয় নবান্ন (Nabanna)। পরিবহণদপ্তর সূত্রের দাবি, গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত বাস, মিনিবাস, অটো, ট্যাক্সি, ট্রাক-সহ সমস্ত মাধ্যমকে ধর্মঘটের দিন রাস্তায় নামার বার্তা দেওয়া হবে। সেই সূত্রে এদিন বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। পিভিডির অতিরিক্ত অধিকর্তা আজ বিকেলে সাড়ে ৪টেয় এই বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে বাস, মিনিবাস, অটো, ট্যাক্সি, ট্রাক-সহ সমস্ত সংগঠনের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছে। ধর্মঘটের দিন রাস্তায় গাড়ি নামালে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হবে বেসরকারি মালিকদের।
পাশাপাশি কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পেতে সরকার সহযোগীর ভূমিকা নেবে। উল্লেখ্য, ধর্মঘটে রাজনৈতিক দলের দাদাগিরি বাগে আনতে আইন করেছে রাজ্য সরকার। যার মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে অভিযুক্তদের থেকে তা আদায়ের নিদান রয়েছে। এই ধরনের নানা সুরক্ষা বলয় তৈরি করে বঙ্গ রাজনীতির এককালের অঙ্গ ধর্মঘটের কালো অধ্যায় মানুষের মন থেকে দূর করতে অনেকটাই সফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। বিধানসভা ভোটের আগে আগামী বৃহস্পতিবারের ধর্মঘট নবান্নের কাছে কার্যত অ্যাসিড টেস্ট। কেননা রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিজেপিকে হারাতে বামেদের প্রতি কিছুটা হলেও নরম হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ফলে লালপার্টির ডাকা দেশজোড়া ধর্মঘটে বঙ্গ প্রশাসন খুব কঠোর মনোভাব নেবে না। কিন্তু ধর্মঘট ব্যর্থ করতে পরিবহণদপ্তর-সহ পুলিস প্রশাসনের এই বাড়তি সক্রিয়তা, সমস্ত জল্পনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।