কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

স্বজনহারা করোনাজয়ী-সকলের পাশে ‘কাছের মানুষ’ বাপ্পাদিত্য!

November 25, 2020 | 2 min read

করোনা পর্বের সেই শুরুর দিন থেকে মানুষের পাশে তিনি। হোক না তিনি প্রাক্তন কাউন্সিলর, কিন্তু এলাকার মানুষ তাঁকে চেনে কাছের ছেলে বলে। দিকেদিকে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে যখন ‘অহংকার’, ‘অসহযোগিতা’, ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ ওঠে হামেশাই, তখন এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমের নাম যেন তৃণমূল নেতা বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। করোনা পরিস্থিতিতেও নাকতলা উদয়ন সংঘের মতো হেভিওয়েট পুজোর দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু করোনা আবহে এখন অনেক বেশি জরুরি মানুষের পাশে থাকা। সেই কাজটাই নিয়মিত, বিরামহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন বাপ্পাদিত্য।

বুধবারও করোনা (Coronavirus) যুদ্ধে জয়ী গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিক ও সার্জেন্টকে সম্বর্ধনা দিলেন ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর বাপ্পাদিত্য (Bappaditya Dasgupta)। কলকাতা পুরসভার শুধু ১০১ নম্বর ওয়ার্ডেই করোনায় মৃত্যু হয়েছে অনেকের। সেই ওয়ার্ডেরই প্রাক্তন কাউন্সিলর, বর্তমানে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। করোনা পরিস্থিতির এতদিন পরেও আক্রান্ত বা তাঁদের পরিবার-পরিজনকে যখন সামাজিক বয়কট করার প্রবণতা দিকেদিকে, তখন মারণ ভাইরাসে যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন, সেই পরিবারগুলির বাড়ির দরজাতেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। শোকস্তব্ধ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তাদের হাতে অখণ্ড দিয়া ও ধূপকাঠি তুলে দিচ্ছেন এই তৃণমূল নেতা।

তবে, সেখানেই তাঁর দায়িত্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে না। প্রতিটি স্বজনহারা পরিবারকেই তিনি বলে আসছেন, ‘আমি আছি আপনাদের পাশে। একদম চিন্তা করবেন না। যখনই যা কিছু দরকার পড়বে, আমায় নিশ্চিন্তে জানাবেন।’ আর এমন এক অসহায় সময়ে স্বজনহারারা ‘কাছের মানুষ’কে পেয়েও ভীষণ রকম আপ্লুত। তাঁরা বলছেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় যখন করোনা আক্রান্তদের পরিবারকে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, সেখানে তাঁদের এলাকায় সম্পূর্ণ অন্য পরিবেশ।

শুধু স্বজনহারা পরিবারের পাশেই নয়, বাপ্পাদিত্য রয়েছেন করোনাজয়ীদের সঙ্গেও। করোনার থেকে যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন মাস্ক, গ্লুকোজ, এনার্জি ড্রিংকস-এর মতো নানা জরুরি জিনিসপত্র। ঝুড়িতে করে সেই জিনিসপত্র পৌঁছে যাচ্ছে করোনাজয়ীদের বাড়িতে। ইতিমধ্যেই ১২০০ জন কোভিডজয়ীর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে এই ঝুড়ি। গোটা এলাকা তাই ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরকে নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। উল্লেখ্য, কলকাতার পুরসভার এই ১০১ নম্বর ওয়ার্ডেই সবার প্রথম বিনামূল্যে ২৮০০ জনের সোয়াব নমুনা টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হয়।

প্রতিদিন নিয়ম করে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে, ‘কেউ আতঙ্কিত হবেন না। করোনার কোনও উপসর্গ দেখা দিলে আমাদের ওয়ার্ড অফিসে আসুন। বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করে যান।’ বাস্তবে কিন্তু ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পেয়ে গিয়েছেন পুজোর ‘উপহার’। সৌজন্যে কাছের মানুষ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#covid-19, #Bappaditya Dasgupta

আরো দেখুন