মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির
সদ্য বিহার বিধানসভায় বিজেপির (BJP) ভাল ফল হয়েছে। ভাল ফল হয়েছে দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনেও। কিন্তু মহারাষ্ট্রে দেখা গেল উলটো ছবি। বিধান পরিষদের নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত ৬টি আসনের নির্বাচনে বিজেপির দখলে গেল মাত্র ১টি আসন। রাজ্যের শাসক জোট মহা বিকাশ আগাড়ি জিতল ৪টি আসন। নাগপুর, যেখানে কিনা আরএসএসের সদর দপ্তর, দীর্ঘদিন পর সেই নাগপুরের শিক্ষকদের আসনটিও এবার হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের।
মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের (Maharastra MLC) শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত ৬টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল ১ ডিসেম্বর। গতবছর শিব সেনা-এনসিপি-কংগ্রেস (Congress) জোট ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম বড় নির্বাচন মহারাষ্ট্রে। বিজেপি চাইছিল, শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত এই ৬টি আসনে শাসক শিবিরকে জোর ধাক্কা দিতে। যাতে মহারাষ্ট্রের মানুষের কাছে বার্তা যায় যে, সেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের অনৈতিক জোটকে মানুষ সমর্থন করছেন না। কিন্তু সেটা তো হলই না, উলটে নিজেরাই বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির।
এই ৬টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে মহাজোটের তরফে ৩টি আসনে লড়েছিল কংগ্রেস। ২টি আসনে এনসিপি (NCP) এবং একটি আসনে লড়েছিল শিব সেনা। এর মধ্যে পুণে এবং ঔরঙ্গাবাদ ডিভিশনের ১টি করে স্নাতক আসনে জয় পেয়েছে এনসিপি। পুণে ডিভিশনের শিক্ষক আসন এবং নাগপুর ডিভিশনের স্নাতক আসনে জিতেছে কংগ্রেস। বিজেপির দখলে গিয়েছে ধুলে-নন্দুরবারের একটি আসন। এই আসনটিতে আগেরবারের জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবারও তিনিই জিতেছেন। একটি আসন গিয়েছে নির্দল প্রার্থীর দখলে। শিব সেনা (Shiv Sena) একটি আসনে লড়লেও তারা জয় পায়নি।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের মোট ৭৮ আসনের মধ্যে ১৪টি আসন শিক্ষক এবং স্নাতকদের জন্য সংরক্ষিত। তার মধ্যে এই ছটি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। যাতে প্রায় ১২ লক্ষ ভোটার ভোট দেন। আর সেজন্যই এই ফলাফলকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাছাড়া নাগপুর আরএসএসের গড়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি ২৫ বছর এই আসন থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, সেই আসনে বিজেপির হার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ফলপ্রকাশের পর তাই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস সাফাই দিলেন, ‘তিনটি দলের মিলিত শক্তি আন্দাজ করতে পারিনি আমরা’