কেন্দ্রের সাথে আর কোনও বৈঠকে বসতে নারাজ কৃষকরা
নয়া ৩ কৃষি আইন(Farm Bill) নিয়ে সমাধানসূত্র বের করতেই হবে। আর আলোচনার প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে শনিবারের বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রাখলেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা(Farmers)। শনিবার পঞ্চম দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের মুখোমুখি হয় বিক্ষোভকারীরা। চলতি সপ্তাহে বিজ্ঞান ভবনে এটা তৃতীয় বৈঠক(Meeting)। সূত্রের খবর, সেখানেই কৌশলে কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেন কৃষক নেতারা।
সূত্রের খবর, শনিবারের বৈঠকে ফের কৃষি আইন বাতিলের দাবি তোলেন কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা। কিন্তু আইন প্রত্যাহারে নারাজ কেন্দ্র। সে কথাও সরকারের তরফেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। কৃষকরাও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেলে দেন কৃষকরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শনিবারও কেন্দ্রের তরফে কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের চা এবং খাবার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা আগের দিনের মতোই প্রত্যাখ্যান করেন প্রতিনিধিরা। তাঁরা নিজেদের আনা চা এবং খাবার খান।
বিজ্ঞান ভবনে বৈঠকের সময় কৃষকদের একটি দল গ্রেটার নয়ডা দিয়ে দিল্লিতে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁদের যমুনা এক্সপ্রেস ওয়েতে আটকে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের রাজধানীর সিংঘু, অচণ্ডী, লামপুর, পিয়াও মানিয়ারি এবং মঙ্গেশ সীমানা এখনও বন্ধই রয়েছে। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’দিক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যাত্রীদের বলা হয়েছে, আউটার রিং রোড এবং জিটিকে রোডও এড়িয়ে যেতে। সাফিয়াবাদ, ধানসা, কাপাসেরা, রাজোক্রি, পলাম বিহার এবং দৌন্দেরার রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে গিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। সূত্রের খবর, কৃষকদের দাবি মেনে নয়া কৃষি আইনে সংশোধনী আনতে পারে মোদী সরকার। বিলে কী ধরনের সংশোধনী আনা হতে পারে, তা নিয়েই মোদীর সঙ্গে আলোচনা করেন অমিত-রাজনাথরা। এর পর বৈঠকে কৃষকদের লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়া হয় বলেই সূত্রের খবর। সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু শেষমেশ বরফ গলেনি। কৃষকরা নিজেদের অবস্থানে অনঢ় থাকেন। তাঁরা ওই বিলের ৩৯টি ত্রুটি তুলে ধরেন। তাঁদের একমাত্র দাবি, এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। এর পরই কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেন কৃষকরা।