পিকনিকের মেনু প্ল্যানিং – মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি
পিকনিকের প্ল্যান করছেন? শীত ছাড়া পিকনিক জমে না। তাই বছরের এই সময়টা ঠাণ্ডা বেশি বা কম, যাই পড়ুক একটা ছুটির দিন দেখে দলবেঁধে পিকনিকে তো যেতেই হবে। হয়তো সেটা হবে নিউ ইয়ার পিকনিক! এ বছর কি মেনু সেট করার দায়িত্ব আপনার? ভাবছেন তো, কীভাবে প্ল্যান করবেন? এই লিস্টটা একবার দেখে নিন।
১) ট্রাভেল টাইম
কতদূরে আপনার পিকনিক স্পট, সেখানে পৌঁঁছতে কতক্ষণ সময় লাগবে, সেটা আগে হিসেব করে নিন। কারণ যদি তাড়াতাড়ি পৌঁছে যান, তাহলে স্পটে গিয়েই জলখাবার (food) খাওয়া হবে। আর নাহলে খেয়ে নিতে হবে যাওয়ার পথেই। ঠিক তেমন ভাবেই পৌঁছতে বেশি সময় লাগলে বেশি আইটেম রান্না করাও সম্ভব হবে না।
২) রান্না হবে নাকি অর্ডার করবেন
পিকনিক মানে একসঙ্গে হুল্লোড়। বেশিরভাগ সময়ই পিকনিকে গিয়ে কোমরে গামছা বেঁধে রান্না করার ছবিটা বাঙালিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। আবার অনেকে একসঙ্গে কোনও একটা বাগান বাড়ি বা পার্কে গিয়ে হুল্লোড় করেন। আর ঠিক সময়ে চলে আসে অর্ডার করা খাবার।
রান্নাটা লিস্ট থেকে বাদ দেন কোনও কোনও গ্রুপ। আপনার পিকনিকটা কোন ধরনের, সেটা ঠিক করুন আগে। অর্থাৎ স্পটে গিয়ে রান্না করবেন নাকি খাবার অর্ডার করবেন, সেই ডিসিশন নিয়ে নিন আগেই।
৩) কারা যাচ্ছেন
আপনাদের গ্রুপে কতজন অ্যাডাল্ট থাকছেন, আর কতজন শিশু সেই হিসেব মাথায় রেখে মেনু সেট করতে হবে। কারণ শিশুর সংখ্যা বেশি থাকলে, তাদের জন্য কম ঝালের রান্না বা হালকা রান্নার ব্যবস্থা রাখতে হবে। আবার দলে টিনএজার বেশি থাকলে তাদের পছন্দ মতো রাখতে হবে স্পাইসি ফুড।
আপনাদের দলের কারও কোনও খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে কিনা, তা জেনে নিন আগে থেকেই। তার একটা লিস্ট করুন। মেনুতে যাতে সেই ধরনের খাবার না থাকে, সেটা খেয়াল রাখা জরুরি।
৪) স্ন্যাক্স
মেনকোর্সের পাশাপাশি প্রপার স্ন্যাক্সের ব্যবস্থাও রাখুন পিকনিকে। কারণ পিকনিক মানেই পানীয়র ব্যবস্থা থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। সেখানে স্ন্যাক্স লাগবে। আবার যারা পানীয়তে আগ্রহী নন, তাদেরও আলাদা রিফ্রেশমেন্টের প্রয়োজন হবে। ফলে মেনকোর্স সেট করতে গিয়ে স্ন্যাক্সের কথাটা ভুলে গেলে চলবে না।
৫) পছন্দ-অপছন্দ
আপনি হয়তো পিকনিকে গিয়ে মাংস-ভাত খেতে ভালবাসেন। আপনার দলের হয়তো আরও তিনজনের সেটাই পছন্দ। কিন্তু বেশিরভাগের পছন্দ চাইনিজ খাবার। তাই যারা পিকনিকে যাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগের কোন খাবার পছন্দ সেটা জেনে নিয়ে মেনু ঠিক করুন।