করোনা জয় পরবর্তী একবছর সতর্ক থাকুন, নির্দেশিকা রাজ্যের
করোনা জয় করলেও পরবর্তী একবছর অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে রোগীদের। বুধবার করোনা জয়ীদের জন্য ১৩ পাতার ‘পোস্ট কোভিড ফলো আপ গাইডলাইন’ প্রকাশ করল রাজ্য। তাতে সাফ সাফ এই কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর (Health Department)। দুই ধরনের রোগীদের জন্য গাইডলাইন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এক, যাঁরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বাড়িতেই ছিলেন। দুই, যাঁরা পজিটিভ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীরা করোনার জয়ের সাত দিনের মধ্যে ফলো আপ করাবেন। ডাক্তার দেখাবেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাবেন। প্রধানত যে পরীক্ষাগুলি করাবেন, সেগুলি হল—১. সিআরপি. ২, ডি ডাইমার ৩. ফেরিটিন ৪. চেস্ট এক্স রে ৫. ইসিজি ৬. ব্লাড সুগার ৭. প্রেশার ৮. অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯. নাড়ির গতি ১০. শরীরের তাপমাত্রা। একই ধরনের পরীক্ষাগুলি এবং চেক আপ হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কোভিড জয়ের দু’সপ্তাহের মধ্যে করাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবসাদ, দুশ্চিন্তা কাটাতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতেও বলা হয়েছে।
এই চেক আপ বা ফলো আপ-এর সময় যদি দেখা যায় ডি ডাইমার দ্বিগুণের বেশি এবং সিআরপি পাঁচগুণের বেশি, চিকিৎসকের পরামর্শমতো ফের ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। সেই সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁর চিকিৎসকই। ইসিজি (ECG) করে দেখে নিতে হবে, হার্টের ছন্দপতন বা অ্যারিদমিয়া বা থ্রম্বোঅ্যাম্বলিজম বা ধমনির মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কতটা। যদি সমস্যা চোখে পড়ে, হৃদরোগ বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে হবে। কর্তব্যকরণীয় তিনিই স্থির করবেন। কোভিড (Covid 19) জয়ের পর বহু রোগীর ব্লাড সুগার বাড়ছে বা নতুন করে সুগারে আক্রান্তে হচ্ছেন। সেজন্য প্রথম ফলো আপ-এর একমাস পর ফের সুগার মাপতে হবে। সব স্বাভাবিক থাকলে ফের ছ’মাস পর পরীক্ষা করতে হবে। প্রথম ফলো আপ-এর সময় চেস্ট এক্স-রে রিপোর্টে যদি ফুসফুসে ফাইব্রোসিস বা সাদা প্যাচ দেখা যায়, ফের একমাস পর চেক আপ করাতে হবে। তারপর মাসে মাসে একবার করে পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে। আর স্বাভাবিক থাকলে প্রথম চেক আপ-এর একমাস পর ফের চেক আপ করতে হবে। তারপর ছ’মাস পর ফের চেক আপ করতে হবে। এই পর্বে ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করে যেতে হবে।