কৃষি আইন আপাতত স্থগিত রাখার কেন্দ্রকে পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের
কৃষকদের আন্দোলনের (Farmers Protest) অধিকার আছে। কৃষি আইন নিয়ে সমস্যা না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলতে পারে। তবে দ্রুত সমস্যা মেটাতে কমিটি গঠনের সুপারিশ করলেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। আপাতত এই বিতর্কিত আইন স্থগিত রাখা যায় কি না তাও কেন্দ্রকে ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
বৃহস্পতিবার কৃষি আইন (Farm Law) নিয়ে দ্বিতীয় দফার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে তিন রাজ্য-দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কেন্দ্রের মতামত শোনেন তিন বিচারপতি। তারপরই স্বাধীন কমিটি গঠনের সুপারিশ করেন তাঁরা। তবে এদিন আদালতে কৃষক সংগঠনের তরফে কেউ হাজির না থাকায় কোনও রায় দেয়নি শীর্ষ আদালত। আগামী সপ্তাহ থেকে অবসরকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
এদিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, “আন্দোলন সাংবিধানিক অধিকার। যতক্ষণ না এটা কোনও সম্পত্তির ক্ষতি করছে বা জীবনহানি ঘটাচ্ছে।” কৃষি আইন নিয়ে সমস্যা মেটাতে কমিটি গঠনের সুপারিশ করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কৃষকদের সঙ্গে সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তাই এবার একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। যেখানে কৃষির বিষয় জ্ঞান রয়েছে এমন সদস্যরা থাকবেন। তাঁদের কাছে কৃষক সংগঠন ও সরকার নিজেদের নিজেদের প্রস্তাব রাখবে। ওই কমিটিই দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করবে। তবে এই সমস্যা না মেটা পর্যন্ত কৃষক আন্দোলন চলতেই পারে বলে মতপ্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
পাশাপাশি, কেন্দ্রকে আপাতত এই বিতর্কিত কৃষি আইন আপাতত স্থগিত রাখার পরামর্শ দেয় শীর্ষ আদালত। যদিও তাতে রাজি হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা। তবে আদালতের এই সুপারিশ কেন্দ্রকে ভেবে দেখার আরজি জানায় সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্যে কৃষক সংগঠনগুলিকে নোটিস দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
কৃষক আন্দোলনের জেরে গোটা দিল্লি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁদের এই অভিযোগের ব্যাখ্যা চায় সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের ব্যাখ্যায় খুশি নয় সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী, দিল্লি সরকারও জানায় কয়েকটি সীমানা অবরুদ্ধ হয়েছে ঠিকই তবে বহু রাস্তা খোলা রয়েছে। কৃষক আন্দোলনে কোভিড নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় সরকার। তচার জবাব দিতে গিয়েছে পাঞ্জাবের তরফে আইনজীবী পি চিদাম্বরম কমিটি গঠনের সুপারিশ মেনে নেন।