তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে এলেন শতাব্দী
দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে পুরস্কৃত হলেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। তৃণমূল রাজ্য কমিটির (Trinamool State Commitee) সহ সভাপতি করা হচ্ছে তাঁকে। পাশাপাশি একই পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন মোয়াজ্জেম হোসেন ও শঙ্কর চক্রবর্তী। রবিবার তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে এদিন শতাব্দী বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি কর্মী হিসেবে যে কাজটা করে এসেছি এবং করছি সেটাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল। আমাকে আগামীদিনে আরও কাজ করতে হবে। দলের কাছে, অভিষেকের কাছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ, তাঁরা এটা মনে করেছেন যে আমি সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতে পারব এবং করতে চাই।’
দিন তিনেক আগেই ফেসবুকে (Facebook) তাঁর ফ্যান ক্লাবের তরফ থেকে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন শতাব্দী। ফেসবুক সেই পোস্ট নিয়ে চলে চরম নাটকীয়তা। এর পরই শতাব্দী সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। এবং তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহয়ের দেখাও হতে পারে। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি তাঁকে স্বাগত জানায়। অবশ্য তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুর বদল হয় শতাব্দীর।
শতাব্দীর মান ভঞ্জনে তৎপরতার সঙ্গে ভূমিকা নিতে দেখা যায় তৃণমূলকে (Trinamool)। গত শুক্রবার সৌগত রায় থেকে শুরু করে ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা ফোন করেন ক্ষুব্ধ শতাব্দীকে। কুণাল ঘোষ তাঁর বাড়িতেও পৌঁছে যান। শেষে সেদিন সন্ধেয় ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে বৈঠক করেন শতাব্দী। আর তার পরই তিনি জানান তৃণমূলেই আছেন। তাঁর সেই সুর বদলেই শতাব্দী দলে নতুন পদ পেলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতির বিশেষজ্ঞরা।
এর পর শনিবার শতাব্দী রায়ের ফ্যান ক্লাব থেকে আর একটি ফেসবুক পোস্টে শুধু তৃণমূলে থাকা বার্তাই নয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। যদিও দিন তিনেক আগেই শতাব্দী অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘দলে বলে কাজ হয় না।’ আর এদিন নতুন পদ পেয়ে তিনি বললেন, ‘লোকজন যেমন দেখল যে দলে বলে কাজ হয় না। তেমনই তাঁরা দেখতে পেলেন যে বলেও কাজ হয়। এটা সবাইকে বুঝতে হবে দলে ঠিক জায়গায় নিজের সমস্যার কথা বললে ঠিকই সমাধান হয়।’ শতাব্দীর কথায়, ‘আগে যখন নিজের সমস্যার কথা জানিয়েছিলাম তখন তা সমাধান হয়নি। কিন্তু এখন হল।’