২৩শে জানুয়ারি পরাক্রম দিবস ঘোষণা কেন্দ্রের, জাতীয় ছুটি নয় কেন প্রশ্ন তৃণমূলের
নেতাজির জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ (Parakram Divas) ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানেই ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নেতাজির তৈরি রাজনৈতিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছিল নেতাজির জন্মদিনকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। এর পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) দাবি তুলেছিলেন যে, নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটির (National Holiday) দিন হিসেবে ঘোষণা করা হোক। যদিও এই কোনও দাবিতেই মোদী সরকার শিলমোহর দেয়নি।
বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে নেতাজি জয়ন্তীকে ‘পরাক্রম দিবস’ নাম দিয়ে আসলে ওই তারিখের গায়ে নিজেদের শিলমোহর লাগিয়ে দিল মোদী সরকার। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। আজ বিকেল ৩টেয় সাংবাদিক বৈঠক করবে কেন্দ্র। সেখানেই সরকারিভাবে নেতাজি জয়ন্তীকে দেশব্যাপী ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
এই বিষয়ে নেতাজির পৌত্র তথা বিজেপি নেতা চন্দ্র কুমার বসু বলেন, নেতাজির জন্মদিবস দেশজুড়ে দেশপ্রেম দিবস হিসেবে পালিত হয়। পালন করে সমস্ত ধর্ম, বর্ণ, জাতির মানুষ। সরকারের স্পন্সরের কোনও প্রয়োজন নেই। এই দিনকে দেশপ্রেম দিবস হিসেবেই ঘোষণা করা উচিৎ।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে দাবি করেছিলেন ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটির দিন ও দেশপ্রেম দিবস ঘোষণা করা হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা মানে নি। ওই দিন আমাদের মিছিল আছে। এই পরাক্রম দিবসে আমরা সন্তুষ্ট নই।
নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা অনেক আগেই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই দিনটি দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করবে। ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শ্যামবাজার থেকে রেড রোড অবধি পদযাত্রা রাজ্যের৷ নেতৃত্বে থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যজুড়ে বাজবে সাইরেন৷
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে দার্জিলিংয়ে ‘সুভাষ উৎসব’ পালন করে আসছে রাজ্য সরকার।