খুলছে স্কুল, জারি হল পড়ুয়াদের জন্য কোভিড গাইডলাইন
কিছুটা ঝাঁজ কমলেও এখনও কাত হয়নি করোনা ভাইরাস (Corona virus)। শিয়রে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক। প্রায় বছরখানেক ধরে ক্লাস হচ্ছে না। মার্চ মাসে একাদশ ও উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। সবদিক খতিয়ে দেখে শুক্রবার থেকে স্কুল চালু হচ্ছে রাজ্যে।
শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, অভিভাবক ও পড়ুয়াদের জন্য কড়া গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য সরকার। ৫২ পাতার সেই গাইডলাইন জেলাশাসকদের মাধ্যমে প্রত্যেক স্কুলে পৌঁছেছে। কোভিড সতর্কতায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারি নির্দেশ– মাদুলি, তাবিচ, কবচ পরে স্কুলে আসার দরকার নেই। বাড়িতেই ওগুলি খুলে আসতে হবে। পাশাপাশি সোনা বা যেকোনও ধাতব অলঙ্কারের উপরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পড়ুয়াদের আংটি, চেন এবং চুড়ি পরেও স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। খুদে হোক বা বড়, শিক্ষার্থীদের প্রথম শিক্ষা দেওয়া হত ‘স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে খাবার খাবে’। একশো আশি ডিগ্রি বদলে যাচ্ছে সেই উপদেশও। বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকারা তো বটেই রাজ্য সরকারও ছাত্রছাত্রীদের নির্দেশ দিয়েছে– ভাগ করে খাবার খেও না।
স্কুল খোলার গাইডলাইনে (COVID guidelines) পড়ুয়াদের স্বার্থেই এই নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মাঝে আর দু’দিন। প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর শুক্রবার খুলে যাচ্ছে স্কুলের দরজা। নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস শুরু হবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ক্লাসরুমে জমেছে ধুলোর পাহাড়। রাজ্যের সব স্কুলে তাই চলছে সাফাই অভিযান। জানালা-দরজা থেকে শুরু করে শৌচাগার, সিঁড়ি, শ্রেণিকক্ষের চেয়ার-বেঞ্চ সবকিছু মোছা চলছে। স্কুলশিক্ষা দপ্তর ইতিমধ্যে স্কুলগুলিতে গাইডলাইন পাঠিয়েছে। স্কুলের সবাইকে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলা আছে গাইডলাইনে। জলের ট্যাঙ্ক সাফ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে প্রত্যেক স্কুলে একটি করে ‘আইসোলেশন’ ঘর রাখতে হবে।
কোনও শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী বা পড়ুয়া হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে সেই ঘরে বিশ্রাম নেবে। প্রয়োজনে তাঁদের হাসপাতালে পাঠাতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের সবাইকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে বলা হয়েছে। সবাই নিজস্ব জলের বোতল আনবে। জল বা খাবার বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে না খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, মাঠে খেলাধুলোর দরকার নেই। কেউ যেন পরস্পরের মধ্যে মারপিট না করে। শুধু খাবার নয়, বই-খাতাও পরস্পরের মধ্যে ভাগ না করার নির্দেশ দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। ছাত্রছাত্রীরা যাতে সরকারি গাইডলাইন মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের। টয়লেট ব্যবহারের পর বারবার ‘ফ্ল্যাশ’ করতে বলা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। যত্রতত্র থুতু না ফেলার জন্যও রয়েছে সরকারি নির্দেশ।