লাল কেল্লা হিংসা – গ্রেপ্তার দীপ সিধু
লাল কেল্লা হিংসার মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার দীপ সিধু (Deep Sidhu)। প্রজাতন্ত্র দিবসের দুপুরে লালকেল্লায় তাণ্ডবের (Red Fort violence) দৃশ্য় নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। কেন্দ্রের তিনটি কৃষিবিল বিরোধী যে আন্দোলন তা যে এতটা হিংসাত্মক আকার ধারণ করতে পারে তা আন্দাজ করতে পারেনি অনেকেই। গোটা ঘটনার দায় নিতে চাইছে না কৃষক সংগঠনগুলি। বিশেষত লাল কেল্লায় পতাকা তোলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে পাঞ্জাবি অভিনেতা গায়ক দীপ সিধুর।
কে এই দীপ সিধু?
গত ছ’মাস ধরে দীপ সিধুর নামের চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কৃষি বিলের বিরোধিতায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বারে বারেই গলা চড়িয়েছেন এই পাঞ্জাবি গায়ক তথা অভিনেতা। বিজেপি হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে দীপ সিধুর যোগসাজশের খবরও সামনে এসেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপ সিধুর একের পর ছবি পোস্ট হতে থাকে। সেখানে দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর প্রচার সঙ্গী হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন সিধু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও ছবি সামনে এসেছে দীপ সিধুর।
এরপরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কৃষক আন্দোলনকে হিংসাত্মক চেহারা দেওয়ার পিছনে যে দীপ সিন্ধুর ইন্ধন ছিল সে অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। কৃষক সংগঠনের অনেক নেতারই অভিযোগ, আন্দোলন যে পথে চালিত করার কথা ছিল তা হয়নি। বরং আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে হিংসার পথে আন্দোলনে মোড় ঘুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে কিছু লোকের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে।
দীপ সিধু শেষবার সামনে এসেছিলেন মঙ্গলবার তথা প্রজাতন্ত্র দিবসের সন্ধ্যায়। নিজের ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে সিধু বলেছিলেন, হাজার হাজার কৃষককে উস্কানি দেওয়া কি একজনের পক্ষে সম্ভব? তাঁর বক্তব্য ছিল, তিনি শুধু কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। লালকেল্লা (Red Fort) চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখানোর কোনও অভিপ্রায় নাকি ছিল না তাঁর। কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষেই সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর লালকেল্লার মাথায় পতাকা টাঙানোর প্রসঙ্গে দীব সিধু বলেন, জাতীয় পতাকার নীচেই কিষাণ সংগঠনের পতাকা ওড়ানো হয়। এতে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়নি।