দেশ বিভাগে ফিরে যান

উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

February 10, 2021 | 2 min read

পুণ্যতোয়া নদীপথে নেমে এসেছে মৃত্যু-পরোয়ানা। এত মানুষ গেল কোথায়? ফিরবে তো? সময় যত গড়াচ্ছে, বাড়ছে উৎকণ্ঠা। তারই মধ্যে দানবের মতো হাঁ করে দাঁড়িয়ে অভিশপ্ত এক সুড়ঙ্গ। তপোবনের বিভীষিকা। নিখোঁজদের নাম ধরে ডাক পড়ছে বারবার। অন্ধকূপের দেওয়ালে ধাক্কা লেগে ফিরছে প্রতিধ্বনি। হাল না ছেড়ে প্রাণপাত করছেন উদ্ধারকারীরাও। তবু সংশয় কাটছে না। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া জনা ত্রিশেক শ্রমিককে ফেরানো যাবে তো!
শুধু সুড়ঙ্গ নয়, জোরকদমে তল্লাশি চলছে সর্বত্রই। মঙ্গলবার নতুন করে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি দেহ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩১। সব মিলিয়ে এখনও নিখোঁজ ১৭৫ জন। এর মধ্যে তপোবন-বিষ্ণুগড় ও ঋষিগঙ্গা, দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকরাও রয়েছেন। এই তথ্য প্রকাশ করেছে উত্তরাখণ্ডের স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) কর্তারা জানাচ্ছেন, এদিন পাঁচটি মৃতদেহের মধ্যে দু’টি উদ্ধার হয়েছে রেনি গ্রাম থেকে।
জলের তোড় নেমে আসার সময় তপোবন-বিষ্ণুগড় প্রকল্পের সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৩০ জন শ্রমিক। সময় যত এগচ্ছে, তাঁদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা তত ক্ষীণ হচ্ছে। হিমাঙ্ক ছোঁয়া তাপমাত্রায় কীভাবে চলছে উদ্ধারের কাজ, না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত। দিল্লি থেকে আইটিবিপির মুখপাত্র বিবেক কুমার জানালেন, গতকালও রাতভর ধ্বংসস্তূপ ও কাদার তাল সরানোর কাজ চলেছে। ভিতর থেকে সাড়া আসার অপেক্ষায় আমরা। জলের তোড় একের পর এক সেতু গিলে খেয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ১৩টি গ্রামের সঙ্গে। হেলিকপ্টার থেকে রেশন সামগ্রী ফেলা হচ্ছে সেখানে। মঙ্গলবার আকাশপথে দুর্গত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। পরে তিনি যোশিমঠে আইটিবিপির হাসপাতালেও যান। সাক্ষাৎ করেন তপোবনের প্রথম সুড়ঙ্গ থেকে রবিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়া ১২ জন শ্রমিকের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধারে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এদিন রাজ্যসভায় উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে রবিবার থেকেই। কনকনে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। ধ্বংসস্তূপ ও মাটির তাল সরাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারী ভারী যন্ত্রপাতি। আসছে আরও যন্ত্র। কাজে লাগানো হচ্ছে কাঠের পাটাতন। রয়েছে ড্রাগন লাইটের সেট, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও স্ট্রেচার। দানব সুড়ঙ্গের অন্দর থেকে প্রাণের সাড়া মিলবে কখন, তাকিয়ে গোটা দেশ।   

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#uttarkhand, #joshimath

আরো দেখুন