বিপাকে বিজেপি, পুরুলিয়ার ৯টি আসনে লড়তে চায় ৩০০র বেশি পদপ্রার্থী
হরিনাম সংকীর্তন দলের সদস্য থেকে চিকিৎসক।কৃষক থেকে আইনজীবী।পুরুলিয়ার ন’টি বিধানসভা থেকে বিজেপির (BJP) হয়ে ভোটে লড়তে চেয়ে জেলা থেকে তিনশোরও বেশি জীবনপঞ্জি (Biodata) জমা পড়েছে। সেই জীবনপঞ্জি থেকে বাছাই করা তালিকা নিয়েই সোমবার দলের কেন্দ্র, রাজ্য ও জেলা নেত্বত্বের বৈঠক হয়ে গেল কলকাতায়। তবে ওই বৈঠক নিয়ে এখনই জেলা নেতৃত্ব মুখ খুলতে নারাজ বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।
দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “জেলায় প্রার্থী হতে চেয়ে প্রায় তিনশ–র বেশি জীবনপঞ্জী আমাদের কাছে জমা পড়েছে। এই তালিকায় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন রয়েছেন।” জেলা বিজেপি সূত্রেই জানা গিয়েছে, এই জীবনপঞ্জিগুলি যেমন সরাসরি দলের জেলা সভাপতির কাছে জমা পড়েছে। একইভাবে তা জমা পড়েছে দলের রাজ্য দপ্তরেও। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন ছাড়াও এই তালিকায় দলের মণ্ডল সভাপতি, শাখা সংগঠনের নেতা এবং জেলা নেতারাও রয়েছেন।
জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি জীবনপঞ্জি জমা পড়েছে কাশীপুর বিধানসভায়। সংখ্যাটা প্রায় ৭৫। এছাড়া তারপরেই রয়েছে পুরুলিয়া বিধানসভায় ৭২, পাড়ায় ৫১, বলরামপুর ও রঘুনাথপুরে ৩০, বাঘমুন্ডিতে ২৫, মানবাজারে ১৮, বান্দোয়ানে ১৫টি। ফলে প্রার্থী হতে চেয়ে এই বিপুল সংখ্যক বিজেপি সমর্থক সহ নেতা–কর্মীদেরকে দল কীভাবে সামাল দেবে তা বুঝতে পারছে না জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থী ঘোষণার পর দলে যাতে কোনওরকম কলহ তৈরি না হয়, এখন সেদিকেই মূল নজর পুরুলিয়া (Purulia) জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।
এদিকে, ভোটের প্রাক্কালে কলকাতায় পাঁচতারা হোটেলে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঠিক করতে চলছে জরুরি বৈঠক। প্রতি বিধানসভা পিছু তিনজন করে নাম নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। ৪ মার্চ দিল্লিতে পার্লামেন্টারি ইলেকশন কমিটির বৈঠকের পর বাংলার প্রথম দু’দফার ভোটে ৩০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। তাতে তারকা মুখ, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, মহিলা ও যুব মুখের প্রাধান্য থাকবে। সংঘ ঘনিষ্ঠ একটা বড় অংশকে প্রার্থী করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিচুস্তরে সংগঠনের রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। বিধানসভা ভিত্তিক ইলেকশন কমিটি হয়েছে কিনা, জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ তারিখ ব্রিগেডে জনসভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। প্রতি বুথ থেকে ২১ জন করে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট দেওয়া হল। এদিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।