মানুষের প্রতিনিধি হয়ে ভোটে নামতে প্রস্তুত অদিতি
ব্যক্তিগত কোনও ‘মুন্সি’য়ানায় ভোট চান না রাজারহাট-গোপালপুরে তৃণমূল প্রার্থী অদিতি। বরং স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে লড়তে চান তিনি। তাতেই জয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন এই বিধানসভা কেন্দ্রের ঘাসফুল প্রার্থী।
রবিবার অদিতির সমর্থনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্যোগে আরতি সিনেমা হলে একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, বিধাননগর ও রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু, তাপস চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যরা। সেখানে অদিতি বলেন, আমি কোনও সেলিব্রিটি নই। আমি এই এলাকারই মেয়ে, আপনাদের মেয়ে। একথা শোনা মাত্র চিৎকারে ফেটে পড়ে গোটা হল। এদিনই ওই কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এই রাজনৈতিক কর্মিসভা শুরু হওয়ার আগে নন্দীগ্রাম দিবস উদযাপন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এছাড়াও প্রত্যেক শহিদকে মাল্যদান করে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী। ভাষণে মোদি সরকারের পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানান সৌগত রায়। আসন্ন নির্বাচনে রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে আগেই স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো সহ একাধিক নেতা-নেত্রী রাস্তায় প্রতিবাদে নেমেছেন।
এদিনের কর্মিসভাতেও এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনা পয়সায় রেশনের চাল দিচ্ছেন। কিন্তু তা ফুটিয়ে খাওয়ার মত অবস্থায় নেই সাধারণ মানুষ। কারণ রান্নার গ্যাসের দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।
সৌগত রায় বলেন, শুধুমাত্র ভারতেই নয়, বাংলাদেশেও অদিতি সমানভাবে জনপ্রিয়। বাংলার কীর্তন সংস্কৃতিকে তিনি অন্যমাত্রায় তুলে নিয়ে গিয়েছেন বলে মনে করছেন সাংসদ। এদিনের সভামঞ্চ থেকে তাঁর স্পষ্ট প্রতিশ্রতি- ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে আমি ছ’টা বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলাম। একুশের নির্বাচনে সাতটি বিধানসভাতেই তৃণমূল জিতবে।