কৃষক বিক্ষোভের সমর্থনে মুখ খুললেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল, অস্বস্তিতে কেন্দ্র
নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এখও উত্তাল রাজধানী দিল্লির সীমানা। হাজার-হাজার কৃষক এখনও কেন্দ্রের কৃষি আইন (Farm Laws) বাতিলের দাবিতে অনড়। গত কয়েকমাসে কৃষকদের বিক্ষোভের সমর্থনে মুখ খুলেছেন দেশের শীর্ষ স্তরের রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামা ব্যক্তিরা। শুধু দেশের মধ্যেই এই সমর্থন সীমাবদ্ধ নেই।
বিদেশের একাধিক রাষ্ট্রনেতা থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরাও ভারতের কৃষক বিক্ষোভের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন মেঘালয়ের (Meghalay) রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তাঁর সাফ কথা, ‘‘কৃষকদের আন্দোলনের পাশে আছি। কৃষকদের পাশে থাকতে যদি রাজ্যপালের পদও খোয়াতে হয়, তাতেও রাজি আছি।’’
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে এবার কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন একসময়ের দাপুটে বিজেপি নেতা তথা মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। কৃষি আইন নিয়ে জটিলতা কাটাতে কেন্দ্রীয় সরকারকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
অবিলম্বে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। মাসের পর মাস ধরে দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে চালানো কৃষকদের এই আন্দোলন সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত বলেও মনে করেন সত্যাপল মালিক। কৃষকদের স্বার্থ সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের, এমনই মনে করেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
শুধু কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন করাই নয়, কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে যদি তাঁকে রাজ্যপালের পদ খোয়াতে হয়, তাতেও তিনি পিছপা হবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন। এমনিতেই একটানা কৃষক বিক্ষোভের জেরে চাপে রয়েছে মোদী সরকার। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে পড়ে আপাতত নয়া কৃষি আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া স্থগিত রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কৃষি আইনের ‘সুফল’ সম্পর্কে রাজ্যে-রাজ্যে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। খোদ কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি প্রতিমন্ত্রী জাঠ সম্প্রদায়ের। কৃষি আইন নিয়ে মূল বিক্ষোভের নেতৃত্বে রয়েছেন পঞ্জাব, হরিয়ানার মানুষজন। ওই দুই রাজ্যেই জাঠ সম্প্রদায়ের মানুষের বাস বেশি। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি প্রতিমন্ত্রীকে জায নেতাদের সঙ্গে কথা বলেও সমসযা মেটাতে তৎপরতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী-শাহরা।