নন্দীগ্রাম বিস্ফোরক মমতা, কলঙ্কিত সেই দিনে পুলিশ ঢুকেছিল শুভেন্দু-শিশিরের সাহায্যে?
১৮ দিন পরে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম জনসভার বক্তব্যেই বিস্ফোরণ ঘটালেন তৃণমূল নেত্রী। ফিরে গেলেন ১৪ বছর আগের ঘটনায়। ১৪ মার্চের কলঙ্কিত দিনে নন্দীগ্রামের গণহত্যায় পুলিশ ঢোকানোর দায় দিলেন শুভেন্দু অধিকারী শিশির অধিকারীর ওপর! তিন দিন বাদে নন্দীগ্রামে ভোট, তার আগে এত বড় অভিযোগ নিয়ে নতুন করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রেওয়াপাড়ার সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে এ দিন বলেন, “আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আসছে, পুলিশের পোশাক পরে অনেকে গুলি চালিয়েছিল। হাওয়াই চটি পরে এসেছিল। এবারেও সেসব কেলেঙ্কারি করছে। এই বাপ-ব্যাটার পারমিশান ছাড়া সেদিন পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি।” রাজনৈতিক মহলে একটি প্রশ্ন অবশ্য উঠছে, কেন এতদিন বলেননি মমতা! মমতা তার উত্তর নিজেই বললেন, “ফেয়ার এনাফ, ভদ্রলোক বলে কিছু বলিনি। সহ্য করে গিয়েছি।”
শিশির অধিকারীর বক্তব্য, “যারা সেদিন জড়িয়েছিল উনি তাদেরই বড় পদ দিয়েছেন। উনি এখন হারের ভয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন।” শিশির অধিকারী মিথ্যে প্ররোচনার অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।এ দিন নন্দীগ্রামের জনসভায় প্রথম থেকেই অধিকারীদের নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, “ওঁরা শুরুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই লড়েছিল। ১৯৯৮ সালে অখিল গিরি লড়েছিল তৃণমূলের হয়ে। তখন ওরা তিন নম্বরে ছিল। দলের জন্মসময়ে ছিলেন না।”
মমতার তত্ত্ব যে সিপিএম একদিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) অত্যাচার চালিয়েছিল, সেই সিপিএমই আজ বিজেপি হয়েছে। নন্দীগ্রামবাসীর প্রতি মমতার অনুরোধ এদের হাত ধরতে না। মমতা কথায় কথায় বলেন, বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতাও তাঁর দলে আসতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, “সিপিএম বলেছিল আসবে, আমি বলেছি না ভাই কম্প্রোমাইজ করকে পারব না। সিপিএম-এর হার্মাদ, বিজেপির ওস্তাদ টাকার লোভে অন্যত্র চলে গেল।”