‘মন কি বাত নাকি ডাল-ভাত?’, কুমারগ্রামে কেন্দ্রকে কটাক্ষ অভিষেকের
আগামী ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোট আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের বেশ কয়েকটি আসনে। আজ, বৃহস্পতিবার তার শেষ প্রচারে বেরিয়ে দলীয় সমর্থক ও ভোটারদের চাঙ্গা করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে জনসভা থেকে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল সরকারের তুলনা করে তাঁর প্রশ্ন, ”মন কি বাত নাকি বিনামূল্যে ডাল-ভাত, কোনটা চান?মন কি বাত তো শুনেছেন, দেখেছেন কি? ওটা দেখা যায় না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে বিনামূল্যে ডাল-ভাত পাচ্ছেন। কোনটা ভাল, আপনারাই বিচার করবেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে কার্যত ম্যারাথন প্রচার করে চলেছেন। প্রতি জেলার প্রায় প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে জনসভা করছেন তিনি। শনিবার চতুর্থ দফা ভোটের আগে বৃহস্পতিবার শেষ প্রচার ছিল। সেখানে আরও উদ্দীপনার সঙ্গে তৃণমূলের সমর্থনে প্রচার করলেন তিনি। কুমারগ্রামের (Kumargram) তৃণমূল প্রার্থী লিওস কুজুরের হয়ে প্রচারে গিয়ে অভিষেক চিরাচরিতভাবেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাজের তুলনায় করেন। তা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ এবং মমতার বিনামূল্যে রেশনের তুলনা টানেন তিনি। এর আগেও অভিষেক তুলনা করে বলেছিলেন, ”বিজেপি নেতারা বিনামূল্যে ভাষণ দেন স্রেফ। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনামূল্য রেশন দেন। বিনামূল্যে রেশন নাকি বিনামূল্যে ভাষণ – কোনটা চাইবেন?” কুমারগ্রামের সভাতেও সেই একই বক্তব্য পেশ করলেন অন্য এক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। ‘মন কি বাত’-এর সঙ্গে ডাল-ভাত অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলিই তৃণমূলের প্রচারের মূল হাতিয়ার। একুশের ভোটে সেসবকেই তুলে ধরছেন দলের নেতানেত্রীরা। অন্যান্য নেতাদের তুলনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার বেশি জনপ্রিয়। জনতা এবং দলীয় সমর্থকদের উজ্জীবিত করে তুলতে নানা প্রসঙ্গ তুলে ভোকাল টনিক দিচ্ছেন তিনি। বিজেপি বিরোধিতায় তাঁর মূল অস্ত্র দুই সরকারের কাজের তুলনামূলক আলোচনা। বারবার বুঝিয়ে দিতে চান, ফের তৃণমূল সরকার তৈরি হলেই নাগরিক পরিষেবা অব্যাহত থাকবে, জনজীবনের মানোন্নয়ন হবে। এদিন কুমারগ্রাম ছাড়াও বেশ কয়েকটি জায়গায় জনসভা করেন অভিষেক।