বাংলাকে রক্ষা করার নির্বাচন, বিজেপিকে পরাস্ত করুন: নবদ্বীপে মমতা
বাড়ছে করোনার প্রকোপ। এই আবহে আজ নির্বাচন কমিশন সর্বদল বৈঠক ডেকেছে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে শেষ তিন দফার ভোট একদিনে করা হোক। এরই মধ্যে প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদিয়া জেলার নবদ্বীপে এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া, জগদ্দল এবং নোয়াপাড়ায় জনসভা তাঁর।
লাইভ আপডেট
১২:৪৫: মা-বোনেরা বেঁধে জোট, জোড়া ফুলে সব ভোট। ছাত্র-যুব বেঁধে জোট, জোড়া ফুলে সব ভোট। সকাল সকাল ভোট দিন, ভয় না পেয়ে ভোট দিন।
১২:৪০: কোভিড আবার বাড়ছে। আমি ডাক্তার নার্স ASHA-ICDS কর্মী, প্রথম সারির কর্মীদের সবাইকে বলতে চাই, আপনারা আগেও ভাল কাজ করেছেন। আবার ভালো করে কাজ করুন। কেউ ভয় পাবেন না। সবাই চিকিৎসা করে নেবেন। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। কোভিড হলেও ভোট দিতে পারবেন। সন্ধ্যা ৬ টার পর ব্যবস্থা করেছে।
১২:৩৮: বিজেপির এক হাতে ঝান্ডা, আর এক হাতে ডান্ডা। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরি হরি, আসুন ভালো কাজ করি। ওরা বলে, হরে কৃষ্ণ হরি হরি, আসুন আমরা দাঙ্গা করি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি, শুধু আমরা চুরি করি। হরে কৃষ্ণ হরি হরি, গ্যাসের দাম হাজার টাকা করি।
১২:৩৭: বিজেপিকে একটা করে গোল দিয়ে বলুন, তুমি মাঠের বাইরে বেরিয়ে যাও। খেলা হবে।
১২:৩৬: খেলা হবে। শান্তিতে নির্বাচন করুন। শান্তিতে ভোট দিন। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। দেখলেন তো শীতলকুচিতে কিভাবে গুলি চালিয়েছে। দাঙ্গা করতে এলে, পা দেবেন না। বিজেপি জিততে না পারলে দাঙ্গা করে, কীর্তি-কেলেঙ্কারি করে।
১২:৩৫: কোভিড কমে গিয়েছিল। তখন কিন্তু ওরা মানুষকে টিকা দিয়ে কোভিড কমিয়ে দিতে পারতো। এখন বহিরাগত গুন্ডারা এসে কোভিড ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলবো, বাইরে থেকে বহিরাগত যেন আসতে না পারে। বাংলায় কোভিড ছড়াবেন না, মোদীজি। আমরা অনেক আগেই চিঠি লিখেছিলাম আমাদের অনুমতি দেওয়া হোক বিনামূল্যে মানুষকে টিকা দেওয়া হোক। আপনারা কেন অনুমতি দিলেন না, জানিনা।
১২:৩৪: গ্যাসের দাম হাজার টাকা করে দিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় ওরা টাকা দিচ্ছে ভোটের জন্য। ওদের বলুন, ক্যাশ নয়, বিনা পয়সায় গ্যাস চাই।
১২:৩২: অসমে ১৪ লক্ষ মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিয়েছে। ভোট মিটতেই ‘ডি’ নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছে। আমরা বাংলায় এনআরসি এনপিআর করতে দেব না বাংলা দিল্লির কথায় চলবে না। দিল্লি বাংলার কথায় চলবে। বাংলা থেকে দাঙ্গাবাজ, ধান্দাবাজ, দুর্নীতিবাজ বিজেপিকে দূর করব।
১২:৩২: আমরা যা কথা দিয়েছিলাম তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি। তাই ভোটটা চাই। সবাইকে বলব তৃণমূলকে ভোট দিন। বাংলা জানো বাংলাতেই থাকে। এই নির্বাচন মা-বোনেদের সম্মান রক্ষা করার নির্বাচন, বাংলা ভাষাকে বাঁচানোর নির্বাচন, বাংলাকে রক্ষা করার নির্বাচন। এটা আমাদের ইজ্জত, সম্মানের লড়াই। কেউ ভোট নষ্ট করবেন না, নয়তো অমিত শাহ ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে।
১২:৩০: আমরা আরও ১০ লক্ষ্য মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করব। তাদের ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেব, যাতে তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। ছেলেমেয়েরা যাতে পড়াশোনা করতে পারে, মা-বাবার উপর চাপ না দিয়ে, আমরা তাদের ১০ লক্ষ টাকা ক্রেডিট কার্ড করে দেবো। তাদের পড়াশোনা তারা নিজেরাই চালাতে পারবে। জামিনদার হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।
১২:২৭: মা-বোনেরা আমার সবচেয়ে বড় ভরসা। একমাস হলো পায়ে চোট নিয়ে আমি সভা করছি। আপনাদের আশীর্বাদে আমার ৭৫% ঠিক হয়ে গেছে। আপনাদের দুটো পা আমাকে শক্তি যোগাচ্ছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে। মা-বোনেরা সব সংসারের জন্য খরচা করে দেয়, কিছু জমায় না। আগে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর ঝাঁপি থাকতো। নোট বন্দি করে মোদী সেটাও কেড়ে নিয়েছে। আগামীদিনে আমরা মা বোনেদের মাসে মাসে ৫০০-১০০০ টাকা হাত খরচা দেব। এই টাকা আপনি আপনার প্রয়োজন মতো খরচ করবেন, কারো কাছে হাত পাততে হবে না।
১২:২৫: অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য আমরা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছি। আগে তাদের ২৫ টাকা দিতে হতো, আমরা ৩৫ টাকা দিতাম। ৬০ বছর হলে আড়াই লাখ টাকা পেত। কিন্তু এখন তাদের আর টাকা দিতে হয় না। পুরো টাকা সরকার দেয়।
১২:২৩: খাদ্য ফ্রি, স্বাস্থ্য ফ্রি, শিক্ষা ফ্রি।
১২:২২: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যারা করেননি, করিয়ে নেবেন। বাড়ির মহিলা প্রধানের নামে কার্ড হবে। বাংলার ১০ কোটি মানুষ এই কার্ড পাবে। বছরে ৫ লাখ টাকা করে পাবে চিকিৎসার জন্য। এত ভালো জিনিস কোথাও দেখেছেন?
১২:২০: কৃষকবন্ধুরা এখন ৬ হাজার টাকা পাচ্ছেন একরপ্রতি। আগামীদিনে এই টাকা আমরা বাড়িয়ে ১০ হাজার করে দেব। খাদ্যসাথী পাচ্ছেন আপনারা। বিনা পয়সায় রেশন আগামীদিনে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেব। আমাদের সরকার না থাকলে বিনা পয়সায় চাল কেউ দেবে না।
১২:১৯: আপনারা আমায় বলুন, ৩৪ বছর বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল। কিছু করেনি। এই কয়েক বছরে আমরা কত কাজ করে দিয়েছি। ভর্তি ভর্তি উন্নয়নের কাজ হয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপসী, সবুজশ্রী, সবুজসাথী, তরুণের স্বপ্ন কারা করেছে? ৬৪-৭৫কি প্রকল্প আমরা চালু করেছি।
১২:১৮: ঘরে ঘরে পানীয় জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে বিশ্বের তীর্থকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। একটা বিরাট উন্নয়নের যজ্ঞ চলছে।
১২:১৬: একদিকে কল্যাণী IIT, AIIMS, Health Hygiene Centre, শান্তিপুরের তাঁত, কৃষ্ণনগরের মসলিন তীর্থ, ফুলিয়া হ্যান্ডলুম হাব, নবদ্বীপ হেরিটেজ শহর। নদীয়া জেলা একটা উন্নত জেলা। কাঁসার বাসন থেকে মৃৎশিল্পী- সবকিছু হয় এই জেলা থেকে। আমি নিজে মায়াপুরের প্রত্যেকটা মন্দির পরিদর্শন করেছি।
১২:১৫: মায়াপুরে আমরা ৭০০ একর জমি দিয়েছি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার তৈরি করার জন্য। পর্যটনের বিকাশ হবে, অনেক কর্মসংস্থান হবে। আমরা সব উদ্বাস্তু কলোনির আইনত স্বীকৃতি করে দিয়েছি। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের জমিতে থাকা কলোনি গুলো স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছি।
১২:১৪: চৈতন্যদেব সারা পৃথিবীর মানুষকে শান্তির পথ দেখিয়েছিলেন। এটা ওনার ধাম। আমরা নবদ্বীপকে হেরিটেজ শহর ঘোষণা করেছি। নবদ্বীপ-মায়াপুর কে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ৩০০ কোটি টাকা খরচা করা হচ্ছে।
১২:১৩: আমি কৃতজ্ঞতা জানাই নবদ্বীপের মানুষকে। শুভ নববর্ষের অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছি। এছাড়াও, বাসন্তী পুজো, অন্নপূর্ণা পুজো, নবরাত্রি, রামনবমী এবং রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানাই।