হাসপাতালে শুয়েই ভক্তদের বিশেষ বার্তা মদনের
শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও বিপন্মুক্ত নন মদন মিত্র (Madan Mitra)। এখনও করোনামুক্ত নন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী। আপাতত শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। আপাতত ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট থেকে জেনারেল কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে।
এদিকে হাসপাতালের থাকলেও নিজের অনুগামীদের ভোলেননি কামারহাটির ‘মদনদা’। ফেসবুকে ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। মদন মিত্র লিখেছেন, ‘আমার পাশে থাকা জন্য সকল বন্ধু, ভক্ত, সমর্থকদের ধন্যবাদ। ৭ দিন ধরে আপনারা আমার নিয়মিত খোঁজখবর নিয়ে চলেছেন। নিজের এবং পরিবারের খেয়াল রাখুন। আপনাদের শুভেচ্ছা আমার কাছে অনেক মূল্যবান’। অর্থাৎ হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়েও নিজের অনুগামীদের বিষয়ে ভাবছেন মদন, বলাই বাহুল্য।
বুধবার মদন মিত্রের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থীকে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মদনের বুকে হাই রেজোলিউশন কম্পিউটেজ টোমোগ্রাফি করা হয়েছে। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সূত্রের খবর, মদন মিত্রকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখার প্রয়োজন হয়নি। তবে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে তাঁকে। আপাতত তাঁর শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্তু চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ। এখনই বিপন্মুক্ত নন কামারহাটির ‘মদনদা’, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
এদিকে, করোনার (Covid 19) দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমশই জটিল আকার নিচ্ছে বাংলায়। এর মধ্যেই মিটিং, মিছিল, রোড শো হয়ে উঠছে করোনার সুপার স্প্রেডার। আক্রান্ত হচ্ছেন একাধিক প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকেরা। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রকমের প্রচার বাতিলের উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, সংক্রমণ রুখতে কেবল পুলিশই দায়িত্ব নেবে না, সতর্ক হতে হবে রাজনৈতিক নেতাদেরও। বাকি তিন দফার ভোটে সংক্রমণের আকার আরও চরমে পৌঁছতে পারে বলেই আশঙ্কিত চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী, অধীর রঞ্জন চৌধুরী। রাজ্য রাজনৈতিক মহলে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞমহল।