শেষ কথা বলবে গণদেবতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে চাঁচাছোলা ভাষায় কথা বলতে দেখা যায়, তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
নির্বাচনের জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত অভিষেক বলেন, ‘ষষ্ঠ দফার মধ্যেই আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় ১৪৮ আসন ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখন শুধু আসন সংখ্যা বাড়ানো। দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা থাকবে।’
এই ভোটে চাপ কী একটু বেশি, সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, ‘কোনও ভোট চ্যালেঞ্জহীন হয় না। সব লড়াই টাফ। প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবব কেন? তবে বিজেপি-র থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং নির্বাচন কমিশন। ওই একটি রাজনৈতিক দলের সুবিধা করে দিতে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এই রকম মারাত্মক কোভিড-পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভোটের দফা কমানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব কমিশন কানে তুলল না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা তো মানুষ মারার। শীতলখুচিতে সবাই কী দেখলেন! এর দায়ও কমিশন এড়াতে পারে না। তা ছাড়া সিবিআই-ইডি ইত্যাদি তো আছেই। ওদের এই সব বৈমাতৃসুলভ আচরণই এ বার চ্যালেঞ্জ।’
তোলাবাজ, ভাইপো প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে অভিষেক বলেন, ‘যে যা করে রাজনৈতিক মুনাফা পায় করুক। শেষ কথা বলবে গণদেবতা।’
অভিষেক সাফ জানালেন দল ক্ষমতায় এলেও মন্ত্রী হবেন না। তিনি, বরং দলের কর্মী হয়ে কাজ করতে চান।
অভিষেকের স্ত্রী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর নাকি লন্ডনে একাউন্ট আছে। উনি কখনো লন্ডন যাননি। ব্যাংকক থেকে নাকি দুকেজি সোনা পাচার করেছে। তার ফুটেজ কোথায়? আমার স্ত্রীর যদি সত্যিই এতো সম্পত্তি থাকে তাহলে তো আমি কমিশনকে সম্পত্তির ভুল হিসেব দিয়েছি। আমার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিৎ। আমি দেব, তার আগে ওরা ওদের অভিযোগ প্রমাণ করুক। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘কয়লা পাচার, গরু পাচার যদিও সত্যিই হয়, তাহলে তো সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিৎ।’
নিজেকে নিরাপত্তার চাঁদরে কেন ঢেকে রাখেন মানুষ নাগাল পায় না এই প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ বলেন ‘আমি নিরাপত্তা চাই না। কিন্তু আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে এই আশংকাতেই পুলিশ এসব করে। ২০১৯ থেকে আমি কালীঘাটের পার্টি অফিসের ওপরে থাকি।’
শেষে বলেন যদি মানুষের সমর্থন নাই থাকবে তাহলে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে জয়ের ব্যবধান ৭০ হাজার থেকে বেড়ে ৩ লাখ ২১ হাজার হয় কী করে?