স্পুটনিক ভি এল ভারতে, এই টিকা সম্বন্ধে জানেন এই তথ্যগুলি?
পরামর্শে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনির্বাণ দোলুই।
১. রাশিয়ার মস্কো শহরের গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এই টিকা তৈরি করেছে।
২. এই ভ্যাকসিনটি হল ‘টু কম্পোনেন্ট ভ্যাকসিন’। সহজে বললে, অ্যাডিনো ভাইরাসের ডিএনএ-এর কিছুটা অংশ কেটে করোনা ভাইরাসের জিনের ছোট্ট অংশ প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সেলকালচারের মাধ্যমে তৈরি হয় ভ্যাকসিন।
৩. বিশ্বখ্যাত ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, স্পুটনিক ভি-এর কার্যকরিতা ৯১ শতাংশ।
৪. বহু ট্রায়াল, পরীক্ষানীরিক্ষার পর ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরি ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটিকে এই দেশে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে।
৫. ভারতে এই টিকার বন্টণের দায়িত্বে রয়েছে ডক্টর রেড্ডি’স ল্যাবরেটরিস (ডিআরএস)।
৬. ইতিমধ্যে এই টাকার দেড় লক্ষ ডোজ রাশিয়া থেকে ভারতে এসেছে। কিছুদিনের মধ্যেই আরও বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন দেশে আসতে চলেছে বলে ডিআরএস জানিয়েছে।
৭. আগামীদিনে ভারতেও এই ভ্যাকসিন তৈরি হবে বলে জানা যাচ্ছে।
৮. চলতি সপ্তাহ থেকেই এ দেশের বাজারে স্পুটনিক ভি মিলতে পারে।
৯. দু’টি ডোজে এই ভ্যাকসিন নিতে হবে। দু’টো ডোজের মধ্যে ব্যবধান থাকবে ২১ দিন।
১০. ভ্যাকসিনটির এক একটি ডোজের দাম ৯৪৮ টাকা। এর উপর ৫ শতাংশ জিএসটি চাপিয়ে তার দাম দাঁড়াচ্ছে ৯৯৫.৪০ টাকা। ডিআরএল-এর দাবি, দেশে এই টিকার উৎপাদন শুরু হলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
আগামীদিনে স্পুটনিক লাইট বলে একটি ভ্যাকসিনও বের করতে চলেছে নির্মাণকারী সংস্থা। টিকাটি হবে একটি ডোজের। তবে ভারতে এই টিকা কবে আসবে, সেই সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।