নতুন প্রাইভেসি পলিসি কার্যকর করা যাবে না, হোয়াটস্যাপকে হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের
হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। ফের এই নীতি প্রত্যাহার করতে হোয়াটসঅ্যাপকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। কেন্দ্রের দাবি, এই মেসেঞ্জার অ্যাপের নতুন পলিসি ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা ভঙ্গ করছে। এমনকী, ওই নীতি ভারতের নিয়ম কানুনেরও পরিপন্থী বলে দাবি করেছে কেন্দ্র সরকার।
বুধবার নোটিস পাঠিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। নোটিসের জবাব দেওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপকে সাতদিন সময় দিয়েছে কেন্দ্র। এই সময়ের মধ্যে জবাব না এলে আইনানুগ ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নোটিসে কেন্দ্র হোয়াটসঅ্যাপকে জানিয়েছে তাদের নতুন প্রাইভেসি পলিসি কীভাবে ভারতীয় আইনের বিরুদ্ধে। এই নীতির কোথায় কোথায় পরিবর্তন আনা উচিত তাও ব্যাখ্যা করে জানানো হয়েছে ওই নোটিসে। এর আগে একবার কেন্দ্র হোয়াটসঅ্যাপকে নিজের নয়া প্রাইভেসি নীতি ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এবারও সেই এক কথা বলা হয়েছে।
আগে বলা হয়েছিল, ১৫ মে’র মধ্যে প্রাইভেসি পলিসি অ্যাকসেপ্ট করতে হবে ইউজারদের। কিন্তু এ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করতে শুরু করেন, ফেসবুকের অন্তর্ভুক্ত এই অ্যাপের নয়া পলিসি মেনে নিলে ফাঁস হয়ে যেতে পারে ব্যক্তিগত তথ্য। ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে অপারগ হোয়াটসঅ্যাপ বলেও অভিযোগ ওঠে। অনেকেই এমন সব খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের তথ্য এবং স্মার্টফোনে সেভ থাকা বিভিন্ন পাসওয়ার্ড কিংবা ফোন নম্বর ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে আবার বিপুল সংখ্যক ইউজার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন। যদিও মেসেজিং অ্যাপটির তরফে বারবার নিশ্চিত করা হয়েছিল, সকলের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ থাকবে। নয়া পলিসি গ্রহণের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে নারাজ কেন্দ্র।