ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় একজোট হয়ে লড়ার ডাক মমতার
ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সবাই মিলে একসঙ্গে লড়াইয়ের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রকৃতির সামনে মানুষ অসহায়… সেই সত্যের ভিতের উপর দাঁড়িয়েই আবেদন করলেন, সতর্ক থাকুন, ধৈর্য ধরুন, আর একসঙ্গে লড়াই করুন। তাহলেই সব বাধা পেরতে পারব। পাশাপাশি আম্পানের মতো যশ নিয়েও কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ করলেন তিনি। মোদি সরকার যশ মোকাবিলায় অগ্রিম হিসেবে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারকে ৬০০ কোটি টাকা করে দিলেও পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ করেছে মাত্র ৪০০ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেই একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন এই বৈষম্য, স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অমিত শাহ তাঁকে বলেছেন, এই বরাদ্দ বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করেই দেওয়া হয়েছে। আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান জানি, তবে ওঁর বিজ্ঞানটা জানি না। আম্পানে অগ্রিম হিসেবে মিলেছিল মাত্র এক হাজার কোটি টাকা। তারপর আর কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র।
সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে বলছি, ভয় পাবেন না। আতঙ্কিত হবেন না। ধৈর্য ধরে ফ্লাড সেন্টারে দু’-তিনদিনের জন্য আশ্রয় নিন। আমরা দশ লক্ষ লোকের থাকার ব্যবস্থা করেছি। প্রকৃতির কাছে আমরা সবাই অসহায়। গত বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। নবান্নে, জেলায়, মহকুমায় এবং ব্লকে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। আমি নিজেও উপান্নে থাকব। শোনা যাচ্ছে, আম্পানের থেকেও নাকি ভয়ঙ্কর হবে এটি। কুড়িটি জেলায় এর প্রভাব পড়বে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানান, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় (Yaas) মোকাবিলার জন্য ৫১টি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দল তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই পর্বেই প্রায় চার হাজার সাইক্লোন শেল্টার ও ফুড শেল্টার তৈরি হয়েছে।