উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বিধায়করা করোনা সংক্রামিতদের পাশে নেই, ক্ষোভ আলিপুরদুয়ারে বিজেপির অন্দরে

June 1, 2021 | 2 min read

জনপ্রতিনিধি হিসেবে দলীয় বিধায়করা করোনা সংক্রামিতদের পাশে না দাঁড়ানোয় আলিপুরদুয়ারে বিজেপির অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতেও বিজেপির বিধায়করা নিজেদের ‘ঘরবন্দি’ করে রেখেছেন। এনিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলের জাতীয় পরিষদের সদস্য গুণধর দাস। বিজেপির আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন জেলা সভাপতি গুণধরবাবুর অভিযোগ, ভোটে জিতে দলের কোনও কোনও বিধায়ক নিজেকে কেউকেটা ভাবছেন। দলের নিচুতলার কর্মীরা আমার কাছে ফোন করে বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক পরাজিত প্রার্থী করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে চাল-ডাল, ওষুধপত্র, অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছেন। সেখানে ভোটে জিতে আমাদের দলের বিধায়করা করোনা সংক্রামিতদের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজেদের গুটিয়ে রাখছেন। এটা কাম্য নয়।


জেলায় গুণধরবাবু আদি বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর অভিযোগ, করোনা আক্রান্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে আমাদের দলের কোনও কোনও বিধায়ক শুধু এদিক ওদিক স্যানিটাইজ করা আর পিপিই কিট বিলি করে তার ছবি ফেসবুকে দিয়ে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। এতে দলের কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভুল বার্তা যাচ্ছে। এতে জনগণের কাছে আমাদের বিধায়কদের বিশ্বাসযোগ্যতাও নষ্ট হচ্ছে। গুণধরবাবুর প্রশ্ন, মহামারীর সময় করোনা আক্রান্তদের পাশে না দাঁড়ালে আমাদের বিধায়করা আর কবে দাঁড়াবেন তাঁদের পাশে? শুধু ভোটে জিতলেই তো হবে না। মানুষের সেবাও করতে হবে বিধায়কদের। 


প্রসঙ্গত, এবার বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি আসনের সবক’টিতেই জিতেছে বিজেপি। যদিও কালচিনিতে পাশাং লামা সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন পরাজিত প্রার্থীকে করোনা আক্রান্তদের বাড়ির দরজায় চাল-ডাল, ওষুধপত্র বিলি করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু, ভোটে জেতার পর  বিজেপি বিধায়কদের অনেককে ময়দানে দেখা যাচ্ছে না বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বিজেপির অন্দরেও ক্ষোভের মাত্রা বাড়ছে।


এ ঘটনায় আলিপুরদুয়ার জেলা সদরের সাধারণ মানুষ নিজেদের ‘অভিভাবকহীন’ ভাবছেন বলে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও জেলায় গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, অভিযোগ ঠিক নয়। বিধায়ক হিসেবে সাধ্যমতো করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এলাকা স্যানিটাইজ করছি, পিপিই কিট বিলি করছি। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেন, কে কী বলছেন জানি না। তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। এই সময় দলের কর্মীদের পাশে যেমন দাঁড়াচ্ছি, তেমনই করোনা মোকাবিলায় আমার বিধানসভা এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছি। এদিকে, দলীয় বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিষদ সদস্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে   জানতে বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে সোমবার একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম, বিজেপির পাঁচ বিধায়ক জেলার মানুষের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, এটাই বিজেপির চরিত্র। এরা কোনওদিন মানুষের কাজ করে না। যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা দখলের লড়াই করে। এতদিনে সেটা বুঝতে পেরেছেন বলে গুণধরবাবুকে ধন্যবাদ জানাই।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bengal, #covid 19, #bjp, #alipurduar

আরো দেখুন