বাবুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, বিজেপি ত্যাগ আসানসোলের ৩ হাজার নেতা-কর্মীর
রবিবার আসানসোল রবীন্দ্রভবনে একটি বিশেষ যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

একুশের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপি (BJP)-র রক্তক্ষরণ অব্যাহত। এবার বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরাই। এই সাংসদ সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক দলের নেতা-কর্মীদের কথাই শোনেন না, এই অভিযোগ তুলে বিজেপি ছাড়লেন আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মদনমোহন চৌবে, বিজেপি-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার বুদ্ধিজীবী সেলের আহ্বায়ক ডা. দেবাশিস সরকার সহ প্রায় ৩০ জন নেতা। রবিবার মোট ৩ হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন।
রবিবার আসানসোল রবীন্দ্রভবনে একটি বিশেষ যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন এই নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার হিড়িক পড়েছে। এবার বাবুল সুপ্রিয়র গড়েও ভাঙন ধরল। কিন্তু কেন এই দলত্যাগ?
মদনমোহন চৌবে বলেন, ‘ভোটের সময় এমন কোনও দুর্নীতি নেই, যা বিজেপি করেনি। এই বিষয়টি স্থানীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও সুরাহা না পাওয়া যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পর্যন্ত লেখা হয় চিঠি। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। পাশাপাশি হিন্দিভাষীদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে গত বিধানসভা ভোটে। কোথাও হিন্দিভাষী প্রার্থী করা হবে না এটা স্পষ্ট বলা হয়েছিল। আর এতেই অপমানিত হয়েছি। দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাতে এবং সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে আমরা তৃণমূলে যোগদান করছি।’
অন্য়দিকে, ডা. দেবাশিস সরকার জানান, বিজেপি থেকে যেভাবে লোকজন তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে তাতে আর আগামী দিনে দলীয় অফিস খোলার জন্য লোক পাওয়া যাবে না। যদিও এদিন আসানসোলের তৃণমূল কর্মীরা মলয় ঘটককে জানান, যাঁরা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন তাঁদের যাতে কোনওভাবেই ফিরিয়ে নেওয়া না হয়। উল্লেখ্য, ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে লড়াই করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটে পরাজিত হন এই নেতা। তিনি বা তাঁর সঙ্গে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নেতাদের ফিরিয়ে না নেওয়ার প্রসঙ্গেই কি এই ইঙ্গিত! উঠছে প্রশ্ন।