পরিযায়ী শ্রমিককে খাবার পাঠালেন দিদি
মধ্যপ্রদেশ থেকে পুরুলিয়ায় কাজ করতে এসে লকডাউনে আটকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিক ভানুপ্রতাপ ত্রিপাঠী। তাঁর বাড়ি রেওয়া জেলার সেমারিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে। রসদ ফুরিয়ে যাওয়ায় মহা বিপদে পড়েন ভানুপ্রতাপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে তাঁর দুরবস্থার কথা জানতে পেরে দ্রুত খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন ভানুপ্রতাপের কাছে। ওই শ্রমিকের কথা মমতাকে টুইটারে জানান মধ্যপ্রদেশের সেমারিয়ার বিজেপি বিধায়ক কেপি ত্রিপাঠী।
মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় দ্রুত খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি ভানুপ্রতাপ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ‘মমতা দিদি-কে’। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে ভানুপ্রতাপের কৃতজ্ঞতাসূচক বার্তা পোস্ট করেছেন। সন্ধ্যারানি সেখানে লিখেছেন, ‘দলমত নির্বিশেষে অভাবী মানুষের পাশে থাকেন দিদি।’
ওই ভিডিয়োতে ভানুপ্রতাপ জানিয়েছেন, ‘আমি রেওয়ার বাসিন্দা। এ রাজ্যে আটকে পড়েছি। আমার সব রসদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। মমতা দিদির কাছে আবেদন করেছিলাম। উনি আমায় খুব সাহায্য করেছেন। খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েও দিয়েছেন। দিদিকে ধন্যবাদ।’ টুইটারে এই ভিডিয়ো দেখে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ওই বিজেপি বিধায়কও।
সেমারিয়ার বিজেপি বিধায়ক কেপি ত্রিপাঠী টুইটারে লিখেছিলেন, পুরুলিয়ার বরতোরিয়ার মদনদি গ্রামে আটকে থাকা ভানুপ্রতাপকে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্যের অনুরোধ জানাচ্ছি। ওই শ্রমিকের ফোন নম্বরও তাতে লিখে দেন বিজেপি বিধায়ক।
ভানুপ্রতাপের দুরবস্থার কথা টুইটারে শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জোতির্ময় মাহাতো, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এমনকী কংগ্রেসের সেবা দলকেও ট্যাগ করেছিলেন সেমারিয়ার ওই বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু সবার আগে মুখ্যমন্ত্রীই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বলে শাসকদল তৃণমূলের দাবি। এ নিয়ে টুইটারে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে কিঞ্চিৎ তরজাও লক্ষ্য করা গিয়েছে।
তবে টুইটারে সড়গড় অনেক সাধারণ মানুষ লিখেছেন মানুষের বিপদের সময়ে এ ভাবেই দলমত নির্বিশেষে বিপন্নদের পাশে দাঁড়ানো উচিত জনপ্রতিনিধিদের। মুখে যতই তরজা চলুক এই বিপদের সময় এক রাজ্যের বাসিন্দাকে ভিন রাজ্যে সাহায্য করার বহু নজির রোজই উঠে আসছে সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে। বাংলায় ভিন রাজ্যের বহু শ্রমিক ও বাসিন্দাকে লকডাউনে রোজ খাওয়ানো হচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।