জিএসটি, আয়করে ছাড়ের দাবি, বৈঠকে অর্থমন্ত্রক
জিএসটি এবং করকাঠামোয় ছাড় দেওয়া হবে? জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। আপাতত আয়কর নিয়ে এখনই কিছু চিন্তাভাবনা না করা হলেও জিএসটি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। দুটি সুপারিশ নিয়ে চর্চা চলছে। ১) ৬ মাসের জন্য জিএসটি স্থগিত ২) একমাত্র পেমেন্ট হাতে পেলেই জিএসটি দিতে হবে। অর্থাৎ ইনভয়েস অথবা রশিদ কাটা হলেই জিএসটি বকেয়া হয়ে যাবে এরকম নয়। এর বাইরেও বাণিজ্য মহলকে স্বস্তি দেওয়া যায় কিনা তা ভাবা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রকের প্রস্তাব দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জিএসটি কাউন্সিল।
পাশাপাশি আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও সরকারি সূত্রের খবর। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ যেহেতু কোনও কাজই হয়নি, তাই ২০১৯-২০ সালের আয়করের পূর্ণাঙ্গ হিসেব নিয়ে সমস্যা রয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই আয়কর রিটার্ন ৩১ জুলাই থেকে বাড়ানোর সম্ভাবনা। রিটার্ন ফর্মও পরিবর্তন করা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী করোনা কেয়ার ফান্ডে দেওয়া টাকাকে আয়কর ছাড়ের আওতায় আনা হয়েছে।
জিএসটিতে সরাসরি ছাড় চাইছে শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। শিল্পহমলের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে আয়করে ছাড়েরও। ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দাবিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রকের কাছে। দাবি করা হচ্ছে, জিএসটিতে ছাড় দেওয়া হোক। যা দিতে অর্থমন্ত্রক এখনও রাজি নয়।
অর্থমন্ত্রকের যুক্তি, সরাসরি জিএসটি ছাড় দেওয়া হলে কর কাঠামোর বিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। গত সপ্তাহে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ইকনমিক কাউন্সিলের বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রক জিএসটি ও কর বিন্যাস নিয়ে কী কী সুরাহা দেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করছে। ইতিমধ্যেই দু’দফায় বৈঠক হয়েছে।