বিজেপি শাসিত বড় রাজ্যগুলিতে টিকা বণ্টনে কার্যত ‘একচোখামি’ মোদী সরকারের
টিকাতেও (Vaccine) কেন্দ্রীয় বঞ্চনা! এই অভিযোগে সর্বপ্রথম সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর টিকাকরণ যত এগিয়েছে, দেশের অন্যান্য বিরোধী নেতৃত্ব সেই ক্ষোভের সুরে সুর মিলিয়েছে। এবার লোকসভায় এই ‘বঞ্চনা’র কথা কবুল করল খোদ মোদি সরকার (Modi Govt)। সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও তৃণমূল (TMC) সাংসদ মালা রায়ের (Mala Roy) প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যওয়াড়ি টিকা বণ্টনের তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ ভারতী প্রবীণ পাওয়ার (Dr Bharti Praveen Pawar)। সেই সরকারি পরিসংখ্যানেই দেখা যাচ্ছে, গত মে থেকে জুলাই মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকের মতো বিজেপিশাসিত বড় রাজ্যগুলিতে টিকা বণ্টনে কার্যত ‘একচোখামি’ দেখিয়েছে মোদি সরকার।
প্রতি মাসেই বাংলার (Bengal) থেকে অনেক বেশি ডোজ পেয়ে আসছে তারা। এ ব্যাপারে কার্যত রেকর্ড গড়েছে ‘নরেন্দ্র মোদির’ গুজরাত এবং ‘যোগী আদিত্যনাথের’ উত্তরপ্রদেশ। গত মে মাসে দুই রাজ্যই পেয়েছিল ৩০ লক্ষেরও বেশি টিকার ডোজ। সেখানে বাংলার ভাগ্যে জোটে ২২ লক্ষের সামান্য বেশি। জুনেও উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাত পেয়েছে যথাক্রমে ৭৭ লক্ষ এবং ৬১ লক্ষের কিছু বেশি ডোজ। কমবেশি ৪৯ লক্ষ ডোজ এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। আর জুলাই মাসে ২০ তারিখ পর্যন্ত কেন্দ্র রেকর্ড পরিমাণ, ৯০ লক্ষাধিক ডোজ দিয়ে বসে আছে উত্তরপ্রদেশকে। বাংলা সেখানে পেয়েছে প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ—৩৩ লক্ষের সামান্য বেশি। বঞ্চনার শিকার বামশাসিত কেরলও। এই তিন মাসে তাদের কাছে গিয়েছে যথাক্রমে ১৭ লক্ষ, ৩০ লক্ষ এবং কমবেশি ২৪ লক্ষ ডোজ। কেন্দ্রের এই বঞ্চনার কারণেই চাহিদা অনুযায়ী টিকা দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা। সেটাই কার্যত মান্যতা পেল।
শনিবার স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত কেন্দ্রের ঘর থেকে টিকার মোট ২ কোটি ৩৬ লক্ষ ডোজ এসেছে রাজ্যে। চলতি মাসে ৭৫ লক্ষ ডোজ পাওয়ার কথা থাকলেও, মিলেছে মাত্র ৫৪ লক্ষ। রাজ্যে বর্তমানে মাসে দেড় কোটি ডোজ দেওয়ার পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু, জোগান না থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের। কোভ্যাকসিন নিয়ে কার্যত হাহাকার চলছে সর্বত্র।